ইচ্ছে করে ফিরে আসুক, আমার সেই ছোট্টবেলা  
    খাকি হাফ প্যান্ট, পায়ে চপ্পল, থাকবে গায়ে সাদা জামা
শিশির ভেজা  স্কুলের মাঠে সোয়েটার গায়ে প্রার্থনা
     দৌড়ে বেঞ্চে বসার ইচ্ছে, এখনও যে ষোলআনা।  
স্টিলের বাক্স, কাঠের ডেস্ক, চক-ডাস্টার ব্ল্যাকবোর্ড  
    শিক্ষকের স্নেহের পরশ, নিয়মের ঘেরাটোপ ।      
আবার সেই সহজ পাঠ,যোগ-বিয়োগ আর নামতা  
    রেল লাইনে বাজবে আমার স্কুলের ছুটির ঘন্টা।    
হব আবার ধুলি ধূসর, ছুটির শেষে স্কুলের মাঠে  
    শুধরে নেব এবারেতে ছোট্ট ছোট্ট  ভুল গুলোকে,  
হাফ প্যাডেলে ছুটির দিনে, দেখব বন্ধ স্কুলটাকে
    দৃষ্টি থাকবে নীলাকাশে, ভো কাট্টা ঘুড়ির দিকে ।
স্কুল জানালায় মন খারাপ, ছোট্ট এক শালিক দেখে  
    দুইটি শালিক দেখা ভাল খুঁজব তাই আরেকটিকে।  
পেনের কালি মাখব আবার মাথার চুলে-হাতের নখে,  
    ছুঁড়ব কালি সাদা জামায় একটুখানি সুযোগ বুঝে।  
গলা ফুলিয়ে স্কুলের মাঠে ডাকবে যখন ব্যাঙগুলো  
    ছুঁড়ব পাথর দেখব আমি কেমন ওরা লাফ দিল।  
বকুল বিচি, বাজবে বাঁশী, আবার হবে পাঞ্জা লড়াই  
    ছুটির পরে বৃষ্টি হলে খেলব আমরা ছাতার লড়াই।  
সুতোয় হবে ঝিলিমিলি, দেখব ভাল মাঞ্জা কার  
    হারলে আমি চপ্পল চেপে ছিঁড়ব ফিতে ঠিক আবার।
নস্যি টিপে অঙ্ক দেবেন, অমল বাবু, তারক স্যার …  
   গোপাল স্যারের চেয়ার ভয়ে অঙ্ক ভুলে যাব আবার।
টিফিন বেলা মুরগি লড়াই, ডাংগুলি বা ডিগ্‌গেল  
    এক পকেট এ থাকবে আমার নীল-লাল-কালো মার্বেল    
বইয়ের ব্যাগে স্বপন কুমার পকেটেতে তিলের খাজা,  
    শক্ত অঙ্কে চুপটি করে ভাঙব দাঁতে মটর ভাঁজা ।
ফুরিয়ে আসা রঙ্গিন বরফ, গুঁজব চুপি জামার ফাঁকে  
    মিষ্টি চিটে বন্ধুর সাথে ভাবটি হবে ক্লাসের শেষে,    
ঘুমের ঘোড়ে চিটের পাহাড়  কাটব দাঁতে কড়াত করে  
    সকাল বেলায় আসন সেরে, পড়ব ভুগোল জোরে জোরে ।
ভাবছি আমি শিখে পড়া, বানাব এক টাইম মেশিন,    
     সেই মেশিনেই আসবে ফিরে হারিয়ে যাওয়া সোনার দিন।  
মিট্ মিটিয়ে হাসছে তাঁরা আসবে ভেসে মেঘের-ভেলা
    ইচ্ছে ঠাকুর সদয় হলেই, ইচ্ছে পুরন তাঁরই খেলা।