যেদিন অস্তরাগের আবীররং লেগেছিল বকের পাখায়
কপোল রক্তিম হয়েছিল আনন্দের প্রতীক্ষায়
সেদিন এসেছিল সে, স্বপ্নের ভেলায়, গোধুলীবেলায়
দোলা দিয়ে অন্তরে, জন্মান্তর যার অপেক্ষায় ।
অসীম যত্নে অপ্সরী রূপে কাজলনয়ন উজ্জ্বল,
শুভসন্ধ্যায় স্বপ্ন রঙ্গীন কল্পনায়,
লাজুক শুভদৃষ্টির অবসানে বাসররাত বাঙময়।
দোয়েলের শিষে ঘুমপরী ছুঁয়ে যায় দুজনায় ।
পেয়েছিল পূর্ণতা- আনন্দ ঝর্নার সিক্ততায়
আধফোটা গোলাপী অধরে বলেছিল কানে, ভালবাসি তোমায় !
দিন যাপন হত নিদ্রাহীন রাতের প্রতীক্ষায় ।
অনেক বসন্ত পেরিয়ে অভিমান ভালবাসার অন্তরায়!
বিবর্তিত পৃথিবীতে ঝরে গেছে কত প্রাণ ............
সুনামীতে, মৌলবাদের গ্রাসে, প্রতিহিংসায়.......।
সাহেব আলীর ভাঙ্গা ঘরে হয়েছে ছাদ,
কৃষ্ণ রায়ের উঠানে জ্বলে না সন্ধ্যে প্রদীপ,
হারিয়ে গেছে সাঁঝ বেলার শাখের ধ্বনি,
কত যৌবন কলঙ্কিত বিকৃত কামনায়।
মোমবাতি হয়েছে প্রতিবাদের ভাষা, বৈদ্যুতিন সভ্যতায়
কালের স্রোতে বিস্মৃতি, নিত্য নতুন ঘটনা
পরিণীতা আজ আধুনিকা, খোলাচুলে সিঁদুরের আলতো ছোঁয়ায়;
ভালবাসা, সহমর্মীতা বিবশ আত্মনিমগ্নতায় !
চারদেওয়ালের মাঝে অন্তরিন ভালবাসা
আজও আছে তারই প্রতীক্ষায়।