বটতলাতেই কাটে তার সারাদিন,রাতে শিবমন্দিরের বারান্দায়,
বুড়ো বটের ঝুড়ি আলতো ছুঁয়ে যায় গভীর মমতায়।
মলিন পোশাক, লম্বা সাদা দাড়ি, এলোমেলো চুল, জিজ্ঞাসা চোখে;
নির্বাক, তবু উজ্জল হয় দৃষ্টি, যদি কোন পূজারিণীকে দূর থেকে দ্যাখে !
দৃষ্টি ক্ষীণ, কাছে এলেই চোখে ফোটে হতাশা ...
কোন চাওয়া নেই, নেই অভিযোগ, হয়ত ছিল একটাই আশা !
দেহ-মন বয়ে নিয়ে কেন আছে এখানেই? কার প্রতীক্ষায়?
বৎসরান্তে হলুদ বটের পাতারাও ঝরে যায়।
সজীবতার ফুরায় প্রয়োজন, তাই ঝরে পাতা
কাজ শেষে তারা আবার মাটিতেই মিশে যায় ।
কাজ দিনে একটাই, বুড়ো বটের বাঁধানো গোড়া মোছা,
কখন সে পূজারিণী, এখানে সাজাবে ডালি, তাই ধোয়া মোছা।
গাছের ফাঁক গলে, যদি নামে সোনা রোদ নরম গালে,
মনে কি উঠবে না ঝড়? মন যে অনেক কথা বলে !
ধন্য রুপোলী নুপুর ! বাজবে আবার সোনালী পায়ে ছম ছম ...
মুগ্ধ হবে আবার এই কোটরগত দু চোখ, ভরবে ভীরু মন।
অন্তহীন ভালবাসার টানে একদিন সে এসেছিল
পাঁজরে বন্দি ভালবাসা, পাঁজরেই অনুরণিত হয়েছিল।
চেপে থাকা অনেক কথা অর্থহীন হয়ে গুমরে উঠেছিল
বোঝেনি সেই পূজারিণী, তাই কি সে ফিরে গিয়েছিল ?
পড়েছিল পাঁজর বন্দী শাহজাহান, আজ সে পাগল--
যে শাহজাহান শুধু স্বপনেই গড়তে জানে তাজমহল।