সেদিন থেকেই আমি তোমায় ভালবাসি
যেদিন লাজরাঙ্গা চোখে আমায় প্রথম দেখেছিলে
যেদিন লাল হয়েছিল কৃষ্ণচূড়া
যেদিন সূর্য সোনালি আভা ছড়িয়েছিল আকাশজুড়ে, তোমার অঙ্গে
যেদিন নীলাকাশ রং ঢেলেছিল তোমার শাড়ীতে
নীলাম্বরী হয়ে আঁচল ছড়িয়েছিলে পিঠজুড়ে
সেদিন থেকেই গাই গান শুধু তোমাকে শোনাতে .........
শিউলি ঝরা শারদ প্রভাতে,
পলাশ রাঙ্গা বসন্তের বিকেলে,
হেমন্তের সকালে সোনালী ধানের ক্ষেতে বাতাসের দোলায়
গেয়ে যাই শুধু তোমারি বর্ণনে
ভরা শ্রাবণের চঞ্চলা তটিনীসম বয়ে চলেছ আপন খেয়ালে।
দেবদত্তা, তুমি অপরূপা,তুমি দুরন্ত, নিজ অক্ষে চঞ্চলা.........
হরিত শাড়ীতে দেহবিভঙ্গে লাবণ্যময়ী
কুসুমকিরনে রক্তিম যৌবনা
চকিতচাহনীতে কুহকী
মহুয়ার মাদকতায় বিমুগ্ধ হয়ে নির্নিমেষ আমি,
তাই গেয়ে যাই শুধু তোমারি বর্ণনে
কক্ষ পথে চাঁদ হয়ে সাজাই তোমাকে
রাতের আঁধারে দর্পণ হয়ে খুঁজি নীল পরীকে
নিজ কক্ষপথে ক্লান্তিহীন অনন্তকাল
তোমার যৌবন আসে আমারি টানে
ভালবাসি তাই তোমায় রাখি আমার নিয়ন্ত্রনে
চলেছি একটু একটু করে অনন্তকাল ধরে
হারিয়ে যাব একদিন কালের নিয়মে, অনন্ত শূন্যে
আসব না কখনো তোমার কাছে
অস্তিত্বের শেষ কণা পর্যন্ত, আলো দিয়ে যাব
আমার আঁধার শুধু আমারি রবে।