ঢাকের বাদ্যি, মঙ্গলারতি, চামর ব্যজন..
বিদায় বেলায় ঘটে দর্পণ বিসর্জন , শান্তি জল...
মা তুমি আবার এসো,  ভরিয়ে দিয়ো অপার আনন্দে  ।
বিষাদ মাখা অশ্রুর আড়ালে,
রক্ত মাংসের দুর্গা মুখ ভেসে ওঠে!!
তোমার দশ হাত মাগো, অনেক অস্ত্র, একটাই অসুর,
মানবী দুর্গার দুহাত নিরস্ত্র, অনেক অসুর ।
মানবী নির্জলা উপোস করে তোমায় অঞ্জলী দিত।
মানবী দুর্গার কুমারী পূজা হয়েছিল ।
সিঁদুর খেলা দেখতে যেত ছোট্ট থেকে --
নতুন জামা পরে, বই খাতা হাতে নিয়ে জননীর সাথে,
ওর প্রার্থণা জনারণ্যে তুমি কখনওই শুনতে পাওনি ।
সেদিনের করুণ আর্তিও তুমি শুনতে পাওনি...
সাদা সিঁথি, রক্তে রাঙ্গা শরীর জ্বলেছে লেলিহান শিখায়, রাঙিয়েছে আকাশ, তুমি কি সে আলো দেখেছ ?
ওই আকাশে ঈশ্বর থাকে বলে ও জেনেছিল,
মায়ের কাছে শুনেছিল মা দুর্গার কি অপার মহিমা...
বোঝেনি যে মা দুর্গার লড়াই ছিল দেবতাদের জন্য ।
প্রাণহীন  স্থির দৃষ্টি ছিল সেই আকাশের দিকে,
যতক্ষণ লেলিহান শিখা সে দৃষ্টিকে গ্রাস করেনি ।
ওর দেহাবশেষ ছাই হয়ে বয়ে গেছে সেই নদীতে
যে নদী বেয়ে বিসর্জনের পর ভেসে চলেছে
তোমার পূজার ফুল, ডাকের সাজ, লাল শাড়ী,
অস্ত্র শস্ত্র,
তোমার গলে যাওয়া শরীরের সাথে ওর মিলন হবে সাগরে,
বিসর্জনের বাদ্যি বাজছে জগত জুড়ে।
সাগরে তোমার সাথে হঠাৎ  মিলন হলে
তোমায় যদি প্রশ্ন করে, তুমি নির্বাক থেকো মা !!!!