আজ স্বাধীনতা,
বলব হে স্বাধীনতা তুমি দীর্ঘজীবী হও...।
ভাবছি আর লিখবো না এই পরাধীন জীবনে কবিতা,
রোজ ইচ্ছে করে আমার পতাকাকে নিজের বুকে আঁকরে নিতে।
বাহাত্তর বছরের অভিমান সব মুছে দূরে রেখে আজ,
বলব-এই পঞ্চাশে স্বপ্ন ব্যর্থ না সার্থক সেটা এখন প্রশ্ন !
তবু ইচ্ছে ছিল, একটিবার আমার পতাকা বুকে পেলে,
জড়িয়ে নিতাম...নিজের বুকের মাঝে।
হয়তো রোজ রাতের আকাশে অমৃতাংশু জ্যোৎস্না দিত,
জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে...
আবহ জাতীয় বুকের মাঝে শুনতে পেতাম।
যদি আমার পতাকাটি বুকে নিতাম,
ভূমিহীন মানুষেরা ঘর বাঁধত,
প্রতিবিম্ব হীনেরা নিজেদের আয়নায় দেখত
রোজ যুদ্ধের ধোঁয়া,ধর্মের গোঁতা খেতাম না।
যদি আমার পতাকা বুকে নিতাম,
রাস্তায় আর লাল আলোর দেখতাম না সমারহ
দেখতাম না সরকারি নল দিয়ে
অনাদরে বয়ে যাওয়া গঙ্গাজলের প্রবাহ !
দেখতাম না মায়ের বুকের লাঞ্ছনার প্রতিবাদ
সারিবদ্ধ কিছু মোমবাতির আলোয় নিয়ে পথ চলা ।
যদি আমার পতাকা বুকে পেতাম,
সব বেদনা সঞ্চয় করতাম,সবাই মিলেমিশে যৌথ পরিবারে,
আর সব সুখ সমভাবে ভাগ করে নিয়ে যেতাম ঘরে।
তবু বলবো,হে স্বাধীনতা তুমি বেঁচে থাকো
আমার বেঁচে থাকায়, স্বপ্নে, প্রেমে, কলমের লেখায়,
মুখের ভাসায়,যৌবনে লেখা কবিতায়
ঠিক আমার মতন করে ।
©সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়