ইদানিং শুনেছি একটি কথা
প্রাণী হত্যা মহাপাপ বিধাতার প্রথা
কোনটা পাপ কোনটা পূণ্য
জগতে সবাই নিয়ে যাবে মহাশূন্য ।
প্রাণীর প্রাণ কি দেহপ্রাণ না মনপ্রাণ
কি হয় যখন হত্যা হয় অগুনতি মনপ্রাণ
ঈশ্বর কি তুষ্ঠ হন শুধু সেবিকার দেহদানে
কিমবা বলিকাঠের রক্তদানে ।
খাদ্য খাদক নীতির প্রনয়ন জগতের কল্যাণে
আদি অনন্তকালের পুরানে যজ্ঞের বলিদানে
প্রানীর হত্যা বন্ধ হলে ভারসাম্যে প্লাবনে
প্রাণীজগত নষ্ট হবে অজ্ঞতার অন্ধ জ্ঞানে ।
পায়ের তলায় প্রত্যহ কত পিঁপড়ে মরে
সবাই কি পথ দেখে চলে পূণ্যের পথে
অজ্ঞানে বলি আর সজ্ঞানে হত্যা
কবে বন্ধ হবে মানব ধর্মের বিধাতা ।
উদ্ভিদের গায়ে রস কি রক্তের উপাধি পাবে
ওদের নিধর শায়িত দেহ নয় কেন মানুষের শব
ওদের সংকেত বোঝে না কেন শ্রেষ্ঠ মহামানব
জড়া জগতে সবাই ব্যস্ত বাক্যবাণে
অপন তথ্য উজাড় করে বলিষ্ঠ তথ্য জ্ঞানে।
মহাকাব্যে তখন বনবাসে হয়েছিল হরিণ বধ
শুধু ভালোবাসা প্রমের অঙ্গিকারে অজান্তে
নিজ সন্তানের বলি চড়েছিল ঈশ্বরের নামে
ঈশ্বর চান নি বলি কোন প্রাণীর ধর্মের পথে।
তাই খাদ্য খাদক নীতি বিজ্ঞানের ঘরে
মেটায় যত জটিলতা ধর্মের নামে ।