ছোট্টবেলা থেকেই আমি খুব শান্ত ।
আসলে শান্ত ঠিক নয় ,বলা যেতে পারে অসাড় ।
ছোট্টবেলা থেকেই ইচ্ছা,
এই পৃথিবীটা দেখব একদিন দুচোখ ভোরে ।
আরো অনেক ইচ্ছা ছিল, এখনও আছে...
যেমন, নিজের পায়ে হেঁটে চলব রাজপথের বুকে ।
অথবা সারা দুপুর দাপিয়ে বেড়াব কারো কল্পনায় ।
আরো স্বপ্ন ছিল কিনা জানিনা, তবে ইচ্ছা ছিল ,
কিছু ইচ্ছা, যা আজো স্থির দাঁড়িয়ে এক পায়ে ।
ছোট্টবেলায় বাবা বলেছিল, তুই ও পৃথিবী দেখবি,
হেঁটে বেড়াবি জনশূন্য রাজপথে,
তুই ও পারবি কন্ঠ তুলে দিতে স্লোগান...
হাতের মুঠোই তুলে নিতে পারবি জয়ের পতাকা।
এইসব স্বপ্নেরা আর ইচ্ছা হয়েও আসে না ।
বাবা আমায় নিরাশ করেনি...
এখন বাবা আর আমি ভাগাভাগি করে দেখি এ পৃথিবী ।
বাবা নিজের একটা চোখ আমায় দিয়ে দিয়েছে...
তবে কতদিনের জন্য জানিনা সঠিক ।
এখনও নিজের পায়ে রাজপথ স্পর্শ করতে পারিনা...
হাতের মুঠো কিভাবে করতে হয়
তা এখন কেউ শিখিয়ে দেইনি আমায় ।
হয়ত ভয় পেয়েই কেউ শিখিয়ে দেইনি...
শিখে নিলে সত্যিই যদি জয়ের পতাকা তুলে নিই
তাহলে আমাকেও সন্মান করতে হবে,
সেই ভয়েই কেউ এগিয়ে দেইনি সহানুভুতির হাত ।
তবে তোমরা ভয় পেওনা ।
আমিও ভয় পাইনা আর...
সবাই মৃত্যুকে ভয় পায়,
আমি, অভাগা, ভয় পাই বেঁচে থাকার ।