তুমিহীনতায়, প্রতিদিন, প্রতিরাত আমি,
ক্রমাগতভাবে ক্ষয়ে যাই, নিরিবিলি শূন্যতা,
আমাকে কেবলই গিলে খেতে চায়, আর
নিজেরই ভিতর, বিরক্তি ভরে নিয়ে আমি,
কোন এক অদম্য ক্ষুধায়, দুর শতাব্দীর বাসনায়,
নিজেরই ভিতর, বেজে উঠি আমি, তীব্র দুঃখ নিয়ে,
কোন এক করুন সুরে, বেনামী এক বেহালায়।
কোন একদিন, যদি তুমি এসে দেখে যাও,
তোমার অনুপস্থিতি, আমার মলিন সত্তায়,
কি এক অদ্ভুত অনুভুতির বোধ এনে দেয়,
আমার আকাঙ্খাগুলি, আমার নাকের ডগায়,
নেচে নেচে চলে যায়,অভিমানে নিশ্চুপ আমি,
হৃদয়ের দীপ নিভিয়ে দিয়ে, নৈ:সঙ্গে পড়ে থাকি,
জীবনের পাতাগুলি ঝরে যায় সকল ঋতুতে।
পুনর্বার, তোমার সান্নিধ্য থেকে দূরে, একাকী,
পড়ে থাকি বিবেকের গহীন গুহায়, কতকাল,
চারিপাশে লতাগুল্ম গজিয়ে ওঠে, আমার শরীরে,
পোকামাকড়ের আনাগোনা শুরু হয়, দংশন করে,
তবু তো তারা সরাসরি কাটে, কোন ছলনা নেই,
মনে হয়, আর উঠে দাঁড়াব না, কখনও কোনদিন,
হয়তো বা বীত প্রেম, থেকে যাবে একটি আঙুলে।
তবুও আমার অহংকার প্রবল জাগিয়ে তুলে,
আমি পড়ে আছি কতকাল, তোমা হতে দূরে,বহুদূরে,
অথচ তোমারই সান্নিধ্যের প্রার্থনা করতে গিয়ে,
তবুও বারংবার, শুধু তোমাকেই বুকে নিয়ে,
স্বর্গসুখ চেয়ে, আমি নিরুত্তর দুঃখে ডুবে থাকি,
আকাশে নষ্ট চাঁদ, যেন ডুবে যায় অনন্ত অমায়,
আমি একা থাকি শুয়ে, বিবেকের শরশয্যায়।