সকালবেলা, পাখিদের ডাকে জেগে,
আমার একলা ঘরের কোণে বসে,
কবিতার বই হাতে, আমাকে প্রদক্ষিন করে,
অকপট সততা, শূন্য চায়ের কাপ,
হঠাৎ তোমার নীল সবুজ রঙের দ্বীপে,
আমার প্রবেশ কবিতায়, জীবনানন্দের
ছন্দে, অঙ্গে অঙ্গে, পাখির ডানার ঝাপট,
কৌতূহল চড়ে বসে, তুমুল তরঙ্গে।
চোখে ভবিষ্যতের বিচ্ছুরণ, চিরস্থায়ী,
নীড় বাঁধতে চাই যদি, তবে করবে তুমি কি,
জবাব খুঁটে খুঁটে, তুলে নিতে চাই আমি,
পাখি যেমন করে, শস্যদানা তুলে নেয় ঠোঁটে,
আমি তো সেই কবে থেকেই, স্তব্ধতাকে
গান উপহার দিয়ে, প্রবেশ করতে চাই,
উতরোল জলরাশি, জাগিয়ে তুলতে চাই,
আমার মাঝের, ভেতরে থাকা তুমিতে।
চিন্তার তরঙ্গে, পুরোপুরি মিশিয়ে সত্তাকে,
নিতে চাই তোমার সত্তার মাঝে, জীবনানন্দের
কবিতা থেকে কবে, চোখ তুলে তুমি,
তাকাবে আমার দিকে, তোমার দৃষ্টিতে,
ঝড় উঠবে, আমার হৃদয় মরুর মাঝে,
মুষলধারে বৃষ্টি নামবে, মেঘমালায় ভরে,
তোমার হাসিতে চমকে, কেঁপে উঠবে,
আমার ভিতরে জমা, বিপর্যয়ের ভগ্নাংশে,
শত শতাব্দীর, আলো অন্ধকার জেগে।