আমি, মাঝে মধ্যে কথা বলি নিজের সাথেই,
আর পুরোনো কাব্যের ছন্দে খুঁজে চলি নিজেকে,
তবুও পড়ার টেবিলে নিদ্রার স্থাপনা গড়ে ওঠে,
স্বপ্নের হাত ধরে আস তুমি, কথা বল মৃদু স্বরে।
আমি একবাটি ভর্তি মাংসের ঝোল, কিছু রুটি,
একপাত্র বিদেশী মদ, আর একগুচ্ছ গোলাপকে,
চিরদিন পৃথিবীতে স্বর্গসুখ বলে জানতে চেয়েছি,
আর জীবন যন্ত্রণাকে জেনেছি নরকের সমান।
তবুও দিনকে পিছনে ফেলে সন্ধ্যায়, আমি,
এক শ্রান্ত, ক্লান্ত পথিকের মতো করে চলে আসি,
নিজেরই চেনা গলিতে, নিজের একান্ত ডেরায়,
নিজেকে মানিয়ে নিই, ছদ্মবেশী সব ক্ষতের সাথে।
মোমের আগুন, পতঙ্গ পুড়ে যায় তাকে ভালবেসে,
তবুও স্বপ্নের জগতে,মরুদ্যান গড়ে তুলি আমি,
তোমাকেই সামনে রেখে, আর তোমার কণ্ঠস্বরে,
মরুদ্যানে, এক ঝর্ণার ধারায় তরঙ্গের সুর ওঠে।
তবুও স্মৃতি যেন পড়ে থাকে, পায়ের চিহ্নের মত,
নির্বাসিত আমি, কাঁটার মুকুট পড়ে একা একা ঘুরি,
আমার প্রতীক্ষার সময় ফুরিয়ে আসে, কায়ক্লেশে,
মূঢ়, আমার চোখের পাতা, কেন বেঁচে থাকা ধরে রাখে।