প্রতিদিন সকালের রোদ পূর্ব থেকে
পশ্চিমের দিকে বিকালের রোদ হয়ে,
ক্রমশ ঢলে পড়ে দিনান্তের শেষে,
প্রতিদিন আজ, গতকাল হয়ে যায়।
আজ আমার সামনে এক শূন্য মরু,
দিগন্ত বিস্তৃত শুধু বালি আর বালিয়াড়ি,
বহুদূরে নেমে যায় দিগন্তের ঢাল,
দিগন্তে নিভন্ত সূর্যের রঙ লাল।
তারই মাঝে দেখি এক সবুজের আভা,
আমি ক্রমশ সেদিকে এগিয়ে যাই,
নিচের দিকে দেখি এক শুষ্ক নদী,
চারপাশে কিছু গাছ, লতাপাতা আর পাখি।
নিচে নামি,নদীর বালি খুঁড়ে জল পাই,
আমার তৃষ্ণা মেটে, স্থির হয়ে বসি,
চারিদিকে তাকিয়ে দেখি, মন শান্ত হয়।
ভাবি, অনেক দেরি হল বটে, তবুও
সমস্ত জীবনের সব রেশ কাটিয়ে,
এবার অবসর জীবন কাটবে বেশ।
হঠাৎই আমার চোখে পড়ে, আনন্দে,
ঘুরেফিরে, খেলা করছে কয়েকটি ছেলে,
ভাল করে তাকিয়ে দেখি এদের, চমকে উঠি,
এরা তো আমারই বিভিন্ন বয়সের রূপ।
আমি চিনলেও, তারা চিনতে চায় না আমায়,
দিগন্তে ডুবন্ত সূর্যের উপর খেলা করে তারা,
তারপর উড়ে যায় কোন সে অনন্তের দিকে।
আমি দিশাহারা হয়ে বসে থাকি একা,
নিজেকে মনে হয় মানসিক সাম্যহারা।
ধীরে ধীরে রাত্রি নামে, বালির ভিতর থেকে,
কাঁকড়া বিছেগুলো সব বেরিয়ে আসে,
আর দংশন করে চলে আমার অস্তিত্বকে।