আমরা দুজন, যেন কোন অন্তবিহীন,
এক মরুভূমির দুপাশে বাস করি, তাই,
অন্তহীন বিচ্ছিন্নতা আমাদের মাঝে আজ।
তবুও মরুভূমির দুপারে তো আছে ঘাসবন,
জীবনের সাথে যার উন্মুক্ত গলাগলি,
তবুও দয়ার্দ্র রোদ্দুরে, মরুভূমিই এসে যায়।
তবুও প্রতিদিন বেলাশেষে, এক নিঃসঙ্গ পথিক,
বালির ভিতর থেকে, ব্যাকুল বার করে,
নিজেরই কঙ্কাল, আর বোবার মত গান গায়।
কেবলই মনে পড়ে, কি বিপুল ঔদাস্য ছিল,
তোমার প্রতিটি মুদ্রায়, চলে যাওয়ার সময়,
আর আমি, কি দৃষ্টি নিয়ে, তাকিয়েছিলাম তন্ময়।
কোন এক প্রতিমার প্রতি, তুমি তাকালে না,
আমার ভিতরের দৃশ্যাবলী, মুছে গেল সব,
ভীষন কুয়াশায়, শুধু মনে পড়ে, তোমার চলে যাওয়া।
তবুও তোমার কাছ থেকে সরে যেতে ভয় পাই,
ধ্বংসস্তূপে বসে থেকে শুধু অমরতা চাই আমি,
বুকে তোমাকেই পাওয়ার প্লাবন, কাতরতার।
অনিদ্রার ঘোরে আমি শুধু নিদ্রাকেই ডাকি,
ভয় পাই, পাছে আত্মসমর্পণ করে ফেলি,
আমার জাগরণের বোধে, ক্রুর নিঃসঙ্গতার।
তবুও মনশ্চক্ষে আমি, প্রতিদিন কেন দেখি,
এক নির্জন পথরেখা, যে পথে হাঁটতে হাঁটতে,
মন বুঝে নিতে চায়, প্রকৃতই কতদূর যাওয়া।
সে পথে নিরালায় তোমার সঙ্গে হেঁটে, আমি,
ফিরিয়ে আনতে চাই, আমার অভিমানী, দগ্ধ,
মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া, আহত কবিতাগুলোকে।