আহত ঈগল আজ, কালো ধোঁয়ার মেঘে,
ব্যর্থতার ডানা ঝাপটায়, বিলোল অন্ধকারে,
চারিদিকে শুধু রক্তস্রোত, খণ্ডিত সত্যের মত লাশ,
আর পোড়া মাংসের গন্ধ, দুর্বৃত্তের স্বাধীনতা,
বিজয় উল্লাসে ধ্বংস করে চলে মানবতা,
প্রতিবাদ, প্রতিকারের দোহাই উৎসারিত করে।
নি:সাড় সুতোয় গাঁথা, এক কাহিনী লেখা হয়,
কাহিনী ক্রমে ক্রমে ইতিহাস, পুনর্বার, মলিনতার,
মানুষ, ক্রমাগত নিজেদের আবছা করে দিয়ে,
জীবনবিসারি, তার উত্তর অধিকার চেয়ে,
তবুও তার ইতিহাস স্পষ্ট করে দিতে গিয়ে,
শূন্য হাতে শূন্যতার চেয়ে, বেশি কিছু দান করে।
উৎকৃষ্ট কবিদের যত লেখা, গভীরতর অর্থ ভুলে,
গড়াগড়ি খায় আজ, ডাস্টবিনে, নর্দমায়, ক্লেদে,
অসম্ভব অন্ধ মৃত্যুতে, ক্ষুব্ধ জনসমুদ্র ভোলে,
এই নিরালোক অন্ধকার রাতে, তুমি, আমি,
অন্ধকার কোণে, আরও কেউ, বিহ্বল হয়ে পড়ি,
বিষণ্ণ সূর্যের তলে, নিরাশ্রয় মানুষের আত্মার ধিক্কারে।
তবুও লোভাতুর, ক্রুর, নৈরাজ্যে, আত্মার দীনতায়,
ব্যাপ্তির ভিতর দিয়ে, ইঙ্গিতের আরো স্পষ্টতায়,
নিজেরই রক্ত গায়ে মেখে, বিজয়োল্লাস মনে করে,
ফুরানো ধানের ক্ষেতে, অর্ধমৃত পঙ্গপালের মত,
ব্যক্তির চেয়ে বেশি জনতা, মননশীলতা ভুলে,
নরকের নিরাশার দিকে, অবিরত ধেয়ে চলে।