মধুমিতা, এখনো নারী মানে তুমি,
সমুদ্রের কালো তরঙ্গের, অন্ধকার
ক্ষয়ে ক্ষয়ে উঠে আসা, স্পষ্ট এক
আহ্বানের মত, শ্রেয়তর বেলাভূমি,
তোমার মুখের স্নিগ্ধ প্রতিভাত রূপ,
যেন রত্নদীপ হাতে নিয়ে, কোন
এক অমাবস্যার রাতে, পূর্ণিমার চাঁদ।
তুমিই তো বলেছিলে, আমাকে ছেড়ে,
যাবেনা কোনদিনও, অথচ আজ,
ক্লান্তি আসে, বড়ো বুকভরা ব্যথা,
স্বপ্নেরা সব সংকল্প হারিয়ে ফেলে,
সময়ের মৃত্যু হলে, এই বসন্তের রাতে,
চারিদিকে ছায়া, ঘুম, শাশ্বত রাত্রির
অবসানে, চলে যায় কেমন নীরবে।
আমি আকুল হয়ে উঠি, অপব্যয়ে,
অন্য এক পৃথিবীতে আলো জ্বলে,
আমার হৃৎপিণ্ড, তার উপর অধিকার,
দূরে, ক্ষতবিক্ষত পৃথিবী, কারোর তো
জানার কথা নয়, স্পষ্ট চোখ খোলা,
তলায় আকাশ বয়ে যায়, জীবনের
সব লেনদেন, সশব্দ দমকে ফেলি রক্ত।
মধুমিতা, এখনো নারী মানে তুমি,
এই পথে আলো জ্বেলে হেঁটেছি,
বহু দূরে অন্তিম প্রভাত, ক্লান্তিহীন,
এই চৈত্রের রাত, মুক করে রাখে,
তবু শেষ সত্য, ক্রমমুক্তি হবে, আহ্বান,
এই চিতার আগুনে, কি দারুন দহনে,
একদিন তুমি, জানি আসবেই এখানে।