বেলা, অবেলা, কালবেলায় এক,
গাঢ় অন্ধকার, পৃথিবীর মুহূর্ত থেকে,
কেমন করে বীজের অঙ্কুরোদগম থেকে,
এক ছায়াচ্ছন্ন অরণ্য জন্ম নেয়,
আমরা জেনেছি সব, সূর্যের আলোতে,
কোথাও কোন এক দিগন্ত আছে,
নীল কল্লোল সাগরের জলের পারে,
আমাদের শরীরের, অনুভবের তীরে।
সব ব্যাপ্ত অনুভব, স্মরণের মন নিয়ে,
আশা আর আশা, সঞ্চারিত হয় শুধু,
জ্ঞানের আলো মুছে অজ্ঞান সব হয়ে,
সচকিত ইতিহাস চোখ মেলে থাকে,
খাঁচার পাখির কাছে, নীলাভ আকাশ,
সকল লোভের বলি, মানুষের ভালবাসা,
তবুও সব সৎ মানুষের তরে, মৃত সূর্যের,
এক তিল চেতনার, আভা ছড়িয়ে।
এখনো তাই, রাত্রি শেষ হলে পরে,
শুভ্র ভোরে, পালক, পাতা, মৃত পতঙ্গ,
মৃত্যুর স্তর, হিংসার খেলা অবসান করে,
ধুলো, বিষ উৎসারিত, গ্লানি কলঙ্কিত,
মরণের নামরূপ, ক্লান্তির ইতিহাস,
সোনালী রৌদ্রে, প্রেমের প্রেরণা নেই,
পণ্যজাত শরীরের, শুধু নিঃসরিত শ্বাস,
তবু পণ্য ভালবেসে, অল্পায়ু মৌমাছির নীড়।