জুঁই ফুলের গাঁথা মালা থেকে,
দু একটা পাপড়ি যেমন খসে পড়ে,
ছিটকে পড়ে যায় এদিক ওদিক,
ঠিক তেমনি করেই যদি তুমি,
দু একটা মুহূর্ত, কিছু সময়,
দাও আমাকে, কি এমন ক্ষতি হবে,
তোমার, অথবা এই পৃথিবীর,
দিনরাত্রি থেমে যাবে, এমন তো নয়।
আজ শুধু বিষাদের প্রতিমূর্তি হয়ে,
কোন নড়বড়ে তুচ্ছতার অজুহাত নয়,
আমি মুক্তি চাই তোমার এই অনিশ্চিত,
অনুপস্থিতির স্বৈরাচারী অত্যাচার থেকে,
আমার প্রতীক্ষার দিনরাত্রির অবসানে,
শুধু তোমার ঝুলি থেকে একটু সময়,
কেন তুমি বোঝ না, হাওয়ায় হাওয়ায়,
উড়ে যায়, সমস্ত সময়, জীবনের অদৃশ্য ওপারে।
অথচ, কোন ছায়া না রেখে মনের দেয়ালে,
স্বস্তিময়, শান্তিময় দিন, রাত কেটে যেত,
নিঝুম বৃষ্টি, পাখিদের গান শুনে শুনে,
যদি হতো না দেখা তোমার সঙ্গে,
কোন কালে, কখনও বা কোন স্থানে,
আজ কি লাভ, এভাবে বেঁচে থেকে,
শুধু হতাশার দিকে ঝুঁকে, ধুঁকে ধুঁকে,
নিয়ে শুধু এক অপ্রাপ্তির অমানিশা, নিঃশ্বাসে।
অথচ, যদি আসতেই হয়,তবে এখনই এসো,
যতদিন রৌদ্র জ্যোৎস্নায় আমি হেঁটে যাই,
বাগানের গাছে গাছে ফুল ফুটে ওঠে,
তোমার খোলা চুল ওড়ে খোলা পথে,
হৃৎপিন্ডে আমার, যেখানে স্পন্দিত হয়,
তোমাকে পাওয়ার দারুন দহন আকাঙ্ক্ষা,
যা নিত্যদিন আমাকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়,
তোমাকেই চাই, জীবনের নাম আজ আমার নিঃশ্বাসে।