আমার এই বিবর্ণ, ছায়াচ্ছন্ন ঘরে,
আধেক আলোয়, আর আধেক ছায়ায়,
আমার এই কবিতায় নিমগ্ন চেতনায়,
কেন যেন এক আশ্চর্য ছায়ার বৃত্ত,
রচিত, নিমজ্জিত হয়ে আছে সবসময়,
তবুও সব কিছুই অবলুপ্ত হয়ে যায়,
চাঁদনীর রাতে, আমার আধেক সত্তায়।
তবু বহুদিন ধরে আমার এই হৃদয়,
অবরুদ্ধ করে রেখেছে, তুমি যেন,
কোন এক অজানা, অসংজ্ঞায়িত মায়ায়,
কোন এক আশ্চর্য স্তব্ধতায় ভরে,
যেন তোমার এক অধিকারের জোরে,
যা চিরকালীন হয়ে আছে আমাদের,
প্রেমের শত শতাব্দীর অনাদি কাল ধরে।
তবু কেন আজ তোমায় ঘিরে আছে,
অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত আধো অন্ধকার,
সবই আছে জানি, তবু গোলকধাঁধায় ঘুরি,
এই আলো আর আঁধারের বৃত্তের মাঝে,
এই বৃত্তের পরিধিতে, কোথাও কিছু নেই,
ভুলে ভরা অন্ধকার, সেই নারী আর নেই,
সুর আছে, গান আছে, নেই শুধু গানের হৃদয়।
তবু কেন অপলক, অকপট চেয়ে থাকি,
শূন্য ছবির ফ্রেম যেন ঝোলে দেয়ালে,
ছবিকে খেয়ে ফেলে শূন্যতা, অনুভবহীন,
পৃথিবীর সব ভাষা আজ পরিভাষাহীন।
সতীর শীতল শবের মত, বয়ে চলি,
আজ বহুদিন, চন্দ্রশেখরের মতো করে,
অসীম কুয়াশা ঘেরা, তোমার স্মৃতির জট,
ক্লান্ত আমি, আজ ফিরি আঁধারে একা,
জানি ফিরবে না আর, মৃত কাঁকনের স্বর।