এই জীবনের সেই কবে, কতকাল আগে,
না কৈশোর, না যৌবনের, সেই সন্ধিক্ষণে,
হঠাৎ, এসেছিলে তুমি আমার জীবনে,
রবি ঠাকুরের এক কবিতার পথ ধরে।
তখন কিছুটা বুঝে, কিছুটা না বুঝেই,
খানিকটা খেলাচ্ছলেই, অপরিপক্ক বুদ্ধিতে,
বিশ্বাসের হাত বাড়িয়েছিলাম তোমার দিকে।
সেই থেকে, বেঁধেছিলাম এক উদ্বাস্তু ঘর,
অনাদরে, এলোমেলো যৌবনের যত প্রয়োজন,
উপেক্ষার ছলে, নির্দ্বিধায় ফেলে দিয়ে,
ঘর বেঁধেছিলাম আমি কবিতার সাথে।
আমার কষ্টের সাথে, নিঃশর্ত সখ্য গড়েছিলে,
তুমি আমার জন্য আয়োজন করেছিলে,
আদি, অনাদি কালের, যত সুকুমার বেদনার,
আমার লেখনী ভরিয়ে তুলেছ, উপমার ভাণ্ডারে।
আমি বুঝিনি, কবিতা কখন, বাসা বেঁধেছ,
আমার শরীরের প্রতিটি কোষে, গভীর সংগোপনে।
আজ জীবনের অবশেষে, এই শেষ পথে এসে,
বলি, কবিতা আমার লেখা শেষ, কাজ মিটেছে,
এবার তবে আমি আসি, ঘর ভাঙার বেলা এসেছে।
সে বলে, চারিদিকে সাহিত্যের এখন বড় দুঃসময়,
তুমি চলে গেলে, এমন এক পরিপূর্ণ প্রেমিক,
আমি আর পাব কোথায়, কষ্টে সৃষ্টে আছি,
আমি এভাবেই থাকতে চাই, আমি তোমাকেই চাই।
আমি বলি, এতকাল যদি গিয়ে থাকে বেবাক,
তবে তাই হোক, যে কটা দিন বেঁচে আছি,
শেষ সেই দিনগুলি, জীবনের, বাকিটুকুও যাক।