এক দুঃসহ, নির্দিষ্ট ব্যাথা, বুকে নিয়ে,
তোমার সঙ্গে সেদিন, আমি একা,
দাঁড়িয়ে ছিলাম, অথচ কী দারুণ,
বর্ণনীয় হাসি, ছিল আমার মুখে,
কেমন, তুমি দাঁড়িয়েছিলে সিঁড়িতে,
নিভৃত, চেতনশূন্য, সব ফাঁকা করে,
চলে যাবার জন্য, এক আকাশ মেঘ,
তোমার মুখে, তখন আমার বুকে,
সমুদ্রের উথালপাতাল, উন্মত্ত ঢেউ।
গোধূলির আলো, আমাকেই ছুঁল,
অগোছাল হাতে, কতদূর বাঁচা যায়,
তারপর, কপাট বিহীন একটা ঘর,
ছোট্ট, অস্থির একটা ঘর, যে ঘরের
কোন ক্লান্তি নেই, আমি ক্লান্তিতে,
ঘামতে থাকি, এখানে কোন পাপ নেই,
কোন সাপ এসে, হিস হিস করে,
বলতে পারে না, পুণ্য উল্লাসহীন,
পাপেই সব আনন্দ, তুমি পাপ করো।
বাইরের পৃথিবী, আজ কোন যোগ নেই,
তার সাথে, বাদুড়ের ডানায় অন্ধকার,
নেমে আসে, তবু ঝকমক করে ওঠে,
লাল, নীল, হলুদ, কাঁচপোকার মত,
তোমার রঙিন শরীর, এক চিলতে রোদ,
কিন্তু আমি অন্ধকার চাই, পিচ্ছিল
এক অন্ধকারে, নিজেকে টানতে থাকি,
আরো গভীর, এক নিশ্ছিদ্র অন্ধকার,
যে অন্ধকার, আমার ব্যাথার জন্মদাত্রী।