প্রতি রাতে, যখন কিছুতেই ঘুম আসে না,
মনে পড়ে, কল্পনার খেয়ালে অগণিত তারা গেঁথে,
আমিও তো ঝাঁপিয়ে পড়েছি অন্তহীন নীলিমায়,
মেঘের প্রাসাদে, নিরুদ্বেগ সাহসী ডানায়।
অস্তিত্বের তন্ময় দেয়ালে, সেদিন আঁকা ছিল,
আশ্চর্য মায়াবী প্রহর, আর ত্রিলোকের রূপাভাস,
স্বপ্নের বাগানে ছিল সব, বাসনার চরম সুবাস,
মদির সঙ্গ আর কামনার দ্রাক্ষাবনে কেটে যেত রাত।
কাটিয়েছি কত যুগ, সেই মায়ালোকে, আস্থা রেখে,
প্রীতি গুঞ্জরণে, স্বপ্নের সুন্দরীদের ভালবেসে,
ভেবেছি স্বপ্নের ঘোরে, শুধু আমার দুচোখ ভরে,
মর্ত্যের বেড়া ডিঙিয়ে, পেয়ে গেছি স্বর্গের অবতরণিকা।
এখন হঠাৎ এই রাত্রির শেষে, নেশা কেটে গেলে,
এই নিশ্চল, নিরেট, অন্ধকারে বসে, আমি একা,
চোখের পাতা আমার, যেন ভারী হয়ে আসে,
শূন্য প্রহরের দীর্ঘশ্বাস, নাড়িয়ে দেয় স্তব্ধ জীবনের ভিত।
হৃদয় হয়ে পড়ে যেন এক অবুঝ নাবালক,
পৃথিবীকে মনে হয় যেন এক নির্বোধের হাসি,
অস্তিত্বের সুরভী ঢাকা পড়ে দাম্ভিক বিজ্ঞাপনে,
ধমনী স্পন্দিত, চঞ্চল হয়ে পড়ে এই শেষ রাতে।
অন্ধকারে হাতড়িয়ে, রাত্রির করুন স্তব্ধতায়,
অন্ধকার চিরে, উড়ে যায় কয়েকটি সাদা বুনো হাঁস,
আমার সত্তার মিনারে, জ্বলে ওঠে দ্বিতীয়ার চাঁদ,
স্মৃতিকে করে তুলি আমি, সীমাহীন বিশাল আকাশ।