আমার পড়ন্ত যৌবনে, তুমি এনে দিলে,
তারুণ্যের স্পর্ধা ভরা সেই সব দিন,
রাত্রির আকাশের সীমাহীন নিলে,
এই ছোট্ট পৃথিবীতে, আমার সীমা বেঁধে দিয়ে,
নিজে হয়ে ওঠ, সীমাহীন, অনন্ত, অসীম।
অপরূপ মাধুর্যে ভরা তোমার শরীর,
কখনও মনে হয় চিনি না, কখনও চিনি,
কখনও মনে হয়, তুমিই প্রতীক এই পৃথিবীর,
আবার কখনও ভাবি, তুমি এক অপার্থিব শরীর,
অনুভব হেরে যায়, তোমার চোখের মায়ায়।
তোমার রাঙা ঠোঁটে, তুমি গেঁথে রাখ সুর,
তাই দিনরাত্রি হয়ে থাকে ঝংকার মধুর,
নিজেরই অজান্তে তুমি রাখ জয়ের সাক্ষর,
তোমার সান্নিধ্যে হয়, জীবনের বিস্মরণ,
সারারাত করি তাই, পৃথিবীতে দগ্ধ পরিক্রমণ।
জানি না, নিজেরই অজান্তে যা কিছু বলি,
অস্ফুট, অস্থির অবগাহনে, তোমারই আলোতে,
তার কিছু বোধগম্য হয় কিনা, তবুও উত্তর খুঁজি,
তোমারি কাছে, তোমার চঞ্চল দুটি আঁখি পটে,
জীবনকে স্থির করে, অপেক্ষায় বসে থাকি আমি।