আমরা বিজোড়, তাই অন্ধকারের রাতের,
কপাট খুলে, সন্ধ্যাতারায় তোমায় খুঁজি,
বালুকাবেলায়, গভীর রোদে সমুদ্রের ঢেউ,
প্রেমের শরীর চিনে নিই আমি তাতে,
অভিচারী বাতাসে ভাঙে তোমার শরীর,
হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে দখিন দিক থেকে,
ফেনা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, মুখর কারুকাজে।

দিনের উজান রোদে, অমেয় নীলিমায়,
সকল ইতিহাসের হৃদয় ভেঙে তুমি আস,
যতদুর আকাশ দেখা যায়, নীলাভ হয়,
বেলা হারিয়ে, সেই নীল সাগরের নীড়ে,
বিলুণ্ঠিত হয় তোমার শরীর, প্রেমের বিসার,
গুঁড়িয়ে রোদের কণার মত, কোন এক নিয়ন্ত্রিত পথে,
বিষন্নতায় মুখর হয়ে, অকূল পাথার শরীরে।

অনেক অনেক নিমেষ বসে থাকি আমি,
নীল সাগরের নীলের মত, অনন্ত বেলায়,
এই পৃথিবীর অগণ্য মৃত গোলাপের কাঁটা,
আর কত মৃত শিশির কণার কথা ভেবে ভেবে,
অগণ্য সময়, এই পৃথিবীর পাতা ঝরার দিকে চেয়ে,
অপেক্ষাতুর আমি, এই পৃথিবীর আলোর মুখে চেয়ে,
নারী, তোমাকে ভাবি, বিষন্নতার কিরণে ক্ষয় হয়ে।

তবু, আমি এক পৃথিবী অপেক্ষা করতে পারি,
মহাকালের ঘড়ি চালু রেখে, ততটা সময়,
যতটা সময়, একটি পাখি দিনান্তের শেষে,
তার নীড়ে ফেরে, পাখিদেরও স্খলন হয়,
একটি সাদা পালক, সময়ের বিচ্যুতির মত করে,
তোমার শুভ্রতার মত সাদা, তবুও আমরা বিজোড়,
নীল সাগরের পাড়ে, আজ ইতিহাসের, অনাথ কলরবে।