প্রতিদিন পথে হাঁটে জীবিত মানুষ,
সারাদিন নানা কাজ করে, রাতে
পরিজন নিয়ে শুয়ে থাকে নিশ্চিন্তে,
ঘৃণার ত্রিশূল তাকে বিঁধবে অকাতরে।
আমি উদ্ভাসিত হয়ে উঠব আজ,
এমন এক মহাপুরুষের ভূমিকায়,
যার দগ্ধিভূত আত্মায় নরকের ছায়া,
জিঙ্ঘাসায় মেতে, চতুর ফাঁদে,
প্রতারিত করব শান্তির পাখিকে।
মানুষ নতজানু হয়ে পড়বে, ভয়ে,
বিষন্ন শিহরণে, প্রেতায়িত মন্ত্রনায়,
আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠব আমি,
গোলাপের নষ্ট বাগানের অসীম স্তব্ধতায়,
প্রতিটি নিঃশ্বাসে আমি মিশিয়ে দেব,
অগোচরে, বাতাসে বিন্দু বিন্দু বিষ।
অমঙ্গল, আশঙ্কা, মিথ্যাচার, ঝড় তুলবে,
সদম্ভে ঘুরে বেড়াবে রাস্তায়, চৌরাস্তায়,
তার কর্কশ চিৎকারে, গৃহস্থ ভয় পেয়ে,
ঢুকে পড়বে ঘরে, বন্ধ হবে জানলা কপাট।
ধ্বংসস্তূপ বাসি ফুলে ফলে ঢেকে,
বিষাদের গাথা লিখে যাবে কবিরা,
নৈরাজ্যে অস্থির, সভ্যতার চৌকাঠে,
জয়োল্লাসে অজস্র পেরেক ঠুকে যাবে,
উচ্ছিষ্ট সভ্যতায় জন্ম নিয়ে, বোধহীন,
স্বরহীন, শুধু ক্রীড়নক হয়ে যাবে যারা।
প্রসিদ্ধ, মহান, গ্রন্থের সব লেখা মুছে যাবে,
বিদ্ধস্ত নীলিমা আকাশ থেকে দেখবে,
পৈশাচিক আনন্দে, হন্তারক হাওয়ার,
দৃষ্টি অন্ধ করা, নেকড়ের মতো হিংস্রতা,
চতুর্দিকে কবন্ধ মানুষের অখন্ড স্বরাজ।