আমাদের ছোট বড়, ঘরবাড়ি ঘিরে,
ধীরে, সন্ধ্যা নামে গ্রামে ও শহরে,
চারিদিকে নরনারী, শিশুদের হাসিকান্না,
তবু কেন মনে হয়, চারিদিকে অগণিত,
জীবন্ত লাশের ঢল, ভাঙ্গা পুতুলের,
কোন এক অজানা কান্নায় কাঁপছে,
নিষ্প্রাণ ইট পাথরের স্তূপ, গাছেরাও?

আমার ক্লান্ত শরীরে, ধ্বংসস্তূপ থেকে,
আহত শরীর তুলে, দেখি আশেপাশে,
হঠাৎ সম্মুখে এক নিষ্প্রাণ বালিকা,
হাতে তার ধূসর এক কবিতার খাতা,
আমি হাতে তুলে নিই, কতিপয় লেখা,
সে তো আমারই, এখনও কটি পাতা,
উদ্ভাসিত হয় কি তাতে, আমার পরিচয়?

আমি ক্লান্ত দেহে, ভগ্নস্তূপে বসে পড়ি,
কখন যে রাত, তার কোমল শরীর,
বিছিয়ে দেয় আমার উপর, ছড়িয়ে পড়ে,
অদূরে পাতাময় গাছের ডাল থেকে,
কোন এক অজানা পাখি গান গায়,
তারার ধরনে, আকাশে ভেসে ওঠে,
স্মৃতিপটে জেগে থাকা, অগণিত মুখ।