আজকাল আমার কি যে হয়,
কবিতা লিখতে লিখতে থেমে যাই,
বার বার আমার মনে হতে থাকে,
যা লেখার ছিল তা বাদ পড়ে আছে।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও করা সেই ভুল যেন
আমাকে ভ্রমরের মত হুল ফোটাতে থাকে,
আমারই মাথার চুল ছিঁড়ি আমি,
আর আমার ঝিমিয়ে থাকা, ভীত সন্ত্রস্ত,
অসমাপ্ত কবিতা আমার দিকে তাকিয়ে থাকে।
তাহলে কি আমি আজ লেখা বন্ধ করে
মন থেকে মুছে ফেলে দেব সব কিছু?
সাধারণ জীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে
এই ভাবনাকে আমি প্রশ্রয় দিয়ে যাই।
অথচ নানান কল্পনার উপমা আমাকে
নানা ভাবে কেবলই ভয় দেখাতে থাকে,
কোন সে দশকের কিংবা শতকের স্মৃতিগুলো
ধুলো ঝেড়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়।
শব্দহারা হাসি দিয়ে তারা কি পরমার্থ
বোঝানোর চেষ্টা করে আমার নির্জন ঘরে,
কি বোঝাতে চায় তারা আমাকে
আমার নিঃসঙ্গ শয্যায় পাশে বসে।
ক্লান্তির কুয়াশায় ঢাকা পরি আমি,
স্মৃতির ভগ্নাংশ দিয়ে গড়ে তুলি কবিতা,
মনে হয় যেন কোন এক ঘৃণ্য, জঘন্য,
ভীষন অপরাধের দায় থেকে মুক্তি পাই।