পরে থাকা খোলসের ভিতর থেকে বেরিয়ে
নিঃসঙ্গ দুপুরবেলা,
দরজার কাছে যেতেই অবসরের অন্যমনস্কতা
নড়েচড়ে বসে।
ভাঙ্গা পথের ভাঙ্গনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে চলে সময়ের গতি
নদীতে কুমারী হাঁসগুলো রাত্রিসংলাপে সাঁতরে উঠে ঠিকানায়।
ভেবেছিলাম , এক প্রহরে ফোটা শুক্রকীটের
অথবা ডিম পাড়া শালিকের গল্প শোনাব ।
কিছুই বলা হল না ।
ভাবনার অক্ষরগুলো ক্লান্তিতে ধুলোয় ঘুমায়।
সন্ধ্যা জড়ানো ছায়াপথে জলপায়ের রঙ নিয়ে হারিয়ে গেলে বহুদুর ।
বহুদূর মানে আসলে কতোদূর?
আর কত অপেক্ষা ?
কুয়াসার ধোঁয়া প্রত্যুষে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ।
বুকের ভিতর টের পাচ্ছি মাইলের পর মাইল দীর্ঘ শূন্যস্থান ।
আসলে কোন শূন্যস্থানই সত্যিকার অর্থে শূন্য নয়
অতিক্ষুদ্র অনেক কণাই শূন্যস্থানে থাকে,
হয়ত হতে পারে এটা তোমার অস্তিত্ব ।
বাঁপাশে চোখ রেখে নদীপথে হারিয়ে আসি পুরো একটা প্রহর।
আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম তখনো ,
ঘোড়ার খুরের মতো তিন দিক দিয়ে ধেয়ে আসে
একটি ভয়ানক সুন্দর অলিখিত আলো।