লেখালিখি ছেড়ে দিয়েছি কিছুদিন হল, ফেসবুকও ছেড়ে দিব ভাবছি।
এখন শুধু জীবন বাঁচার তাগিদে রুটিনবিহীন কাজ করে চলা,
কাজ, কাজ আর কাজ।যেদিক যেমন হাওয়া বয়ে চলবে,
সেদিকেই জীবনের পাল ধরব ভাবছি।

হোক গন্তব্যহীন এগিয়ে চলা,
হোক ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেকি হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে
সামাজিক বন্ধনে নিজেকে বেঁধে রাখা।
আর কি কি করতে হবে বাক্সবন্দি জীবনে, ভাবছি।



আমি উড়ায় সুতা ছেঁড়া সুখের ঘুড়ি
সুতা আছে, নাটাইও আছে সেগুন কাঠের।
বাকি আছে শুধু ছোট্ট একটা সংযোগ!

এখন আর ভালোবাসা বাসি নিয়ে
কোন আহাজারি নাই,নাই কোন অভিযোগ।
এখন আর বলিনা,
যার বই পড়ার অভ্যাস আছে সেকি
নারীর মতন একটা সহজ পাঠ্য পড়তে পারে না?

আমার দু'হাত রেখেছিলাম একদিন ভুল বুকের ভাঁজে,
চোখের কোণে বুনেছিলাম ভুল কিছু স্বপ্ন!
আমি তার বুকের ভিতর শালবন হয়ে আর শুনিনা পাখির কলতান
কে যেন এসে কেড়ে নিয়ে গেল সকল পাখি আর
পাখিনীর খড় ।

চাঁদ এসে শুষে নেয় সূর্য্যের দাহ
কিংবা সূর্য্য এসে খুন করে জোছনার মায়াবী শুভ্রতা ।
মনের ভিতর জমে উঠে, একটি পাখির নীড়হারা চোখের জল,
দুইটা শালপাতায় মোড়া সুন্দরতম পাপ, তিনটা
অব্যক্ত নারীর ভালোবাসা ।