পূঁজার ফুল বাসি হল!
চোখের নোনা জলে মুছে দিলাম
সিঁথীর সিঁদুর ।
দীর্ঘশ্বাসের অংগারে পোড়ে
আঁচলে বেঁধে রাখা শুকিয়া যাওয়া স্বপ্নগুলো।
ধোঁয়া আর পোড়া গন্ধে ভিজে
অতি যতনে বেড়ে ওঠা আইভি লতা ।
বুকের ভিতরকার কান্নাকে বের করে
ছড়িয়ে দিই উদাস পুকুরে,
কান্নাগুলো ডুবে গেলো বেদনার ভারে।
রুক্ষচোখে জেগে উঠে চৈত্রী দুপুরের খরতা ,
শিরায় শিরাই যে যন্ত্রণা জ্বলে ওঠে
তার রঙ কি নীল ?
চিৎকার করি নিঃশব্দে
ভিতরের হাহাকার আটকে যায় বাতাসে।
সেদিন কি ভেবে জানিনা, পায়ের শেকল খুলেফেলি
বুকের হাড় ফুটো হয়ে বেড়িয়ে পরে
সুদীর্ঘ ভয়।
সব কিছু উপেক্ষা করে,দু'পায়ে আঁধার জড়িয়ে
বেরিয়ে পড়ি রাতের হাত ধরে,
হাটছি আর হাটছি
পায়ের তলায় হেটে চলেছে একটি পথ।
সামনে কিছুই নেই,আছে শুধু শূন্যতা
অন্ধকারের গন্ধ চিনে এগিয়ে চলি,
গাছবনে নিভে যায় গুল্মের নিঃশ্বাস নিরবে
আমার রঙ্গহীন চেতনার নদী বয়ে চলে আনমনে!