দূরে বিরাট নক্ষত্রের তীব্র জ্যোতি
এ জ্যোতির ক্ষীন রেখা পাওয়ার ইচ্ছা রাখে
অন্ধকারে অতল তলে ঢাকা প্রাণগুলো-
বাইরের হিমেল বাতাস পৌঁছেনা এদের ঘরে ঘরে -
কঠোর রোদ্দুরে কুয়াশার জলে
ভিজতে চায় এক অনুভূতি হীন।
ব্যর্থ বির্বণ মুখ তার নীরব শান্ত নিঃশ্চল ।
যত্নে মাখে স্বপ্ন পোড়া ছাই ,
আকাশে উড়তে মানা – যদি বা পাখি হই ।
প্রেম প্রিতি মায়া মমতা ও প্রতিবাদ যার প্রকাশ নিসিদ্ধ ,
তাই মিশে যায় ওরা চুপি চুপি
অন্ধকার থেকে অন্ধকারে
কেউ খোঁজ রাখে না তার-
দূর নক্ষত্রের নিরঅহঙ্কার আলো কেন যে
অন্ধকারে ছুঁয়ে যায় আমার চোখের তারা-
মনে হয় যেন কাছেই দাঁড়িয়ে আছি তোর -
আশে পাশে মৃত মন ভিড় জমিয়ে আসে –
কার স্বাধীনতায় এত পরাধীন আমি –
কে জানে ?
হাসছে আমার ধর্ম , হাসছে আমার জাত ,
কে আমি ?
ব্যর্থতম প্রান থেকে এক পৃথিবী অনুভূতি
জেগে ওঠে ধীরে ধীরে
মাত্র কয়েকটা শব্দে গড়ে মানবতার ইতিহাস,
এক মুহুর্তে জন্ম নেয় এক স্বাধীন আমি-
চুর্ন বিচুর্ন করে দেয় সমস্ত অদৃশ্য কারাগার –
ছুটে আসে দলে দলে দম্ভের স্তম্ভ গুলো
হাজার ধর্ম ,বর্ণ , আজুহাত ক্ষমতার
টুটি চিপে ধরে তার -
তার পর আবারও ঘন অন্ধকার
শুধু অন্ধকার পথে হেঁটে যায়
স্বাধীন শব্দ দল ভাষাহীন নিঃশ্চুপ –
স্বাধীনতা যে ভীষণ একা ,
ভীষণ একা – ভীষণ একা –
তবুও ঠিক দূর নক্ষত্রের মত
বাঁচতে জানে একলা আকাশে স্বাধীন ,
অহকারের স্তুপ মৃত পাহাড়ের মত মাথা উঁচু ,
কেবলি ঠায় দাঁড়িয়ে রাস্তা আগলে -
তার উপর দিয়ে
ডানা মেলে মেঘের মত উড়ে যায় মন , ইছ্ছে হলে বৃস্টি হয়ে ঝ রবে জখন তখন –
স্বাধীন শব্দে টিপ টিপ রিম ঝিম ঝিম ।