তুমি হতে ফেরান গায়ে কাশ্মীরি ওই ছেলে,
শিকারা খানা বাইতে তুমি
বরফ গলা কনকনে জল ঠেলে –
আমি হতাম কাশ্মীরি সেই মেয়ে ,
ভেড়ার পালে কঞ্চি ঘোরাই
পাহাড়ের ঢালে ঢালে –
কেমন যেত দিন , কঠিন জীবন যাপন –
তবু লাগত গালে আপেল ফুলের রঙ ,
সে রঙের সাথে আকাশ ঘেরা বরফ পাহাড়
ঘিরে রাখত না হয় আমদের ,
আখরোটের গাছের তলায় আমি টুকরো পাথর মাথায় সরাতাম ,
তুমি তুলতে ঘরের দেয়াল –
জানলা জুড়ে কাঠের কারুকাজ –
আর টেবিলের অপর রাখতাম ওই সিলভারের গরম চা রাখা
বড় কেটলি , সুদৃশ্য তার নক্সা আঁকা গা, কি যেন এক নামও আছে –
আজ থাকনা অজানা, খুজব অন্যকোন দিন, পাহাড় ঢালে সরষে ফুলে
আছে আমার চেনা কেউ-
জীবন জুড়ে পাহাড় কোলে আমাদের থাকত কিছু বরফ জমা দিন ,
সেই দিন গুলোর সূর্য আলো আঁকত কত নক্সা চাদর কত রঙের ,
মনের ভিতর গুছিয়ে নিতাম সন্ধ্যে নামার আগেই-
সে মন খানা কেমন হতো তবে ,
চদরের পাটে পাটে চলে যাওয়া দিন মনের ভেতর আর এক স্বরগ গড়ে ,
চাঁদের আলোয় একলা ভেজা পাহাড় যেমন ?
ত্রিকোন ঝাউয়ের সবুজ বন ,
অথাবা ওই বরফ গলা নদীর মতন ,
কেমন হত সে মন -
তোমায় ভালবাসে-
তুমি হতে ফেরান গায়ে কাশ্মিরি ওই ছেলে ,
আমি হতাম ওই ফেরানে সূচ সুতোতে নক্সা তোলা পাহাড়িয়া সেই মেয়ে -
পাহাড় ঢালে ধস এড়িয়ে একবিন্দু ঘর আমাদের,
কী নাম রাখতাম -