যে মেয়েটা রিলস্ বানাচ্ছে,
ফলোয়ার বাড়াতে চাইছে
ভিউজ বাড়াতে চাইছে
তাকে অবহেলা করার মতো কিছু নেই
আপনার মনে হতেই পারে
কটা টাকার জন্য যা ইচ্ছা তাই করবে,
রাস্তার মাঝে নাচবে,যখন তখন গান গাইবে,
কবিতা বলবে, আবার
বাড়ির পুটি মাছের রান্না ,শিলের বাটনা
রসুনের খোসা ছাড়ানো সবই দেখাবে
কটা টাকার জন্য আজকাল মেয়ে বউরা যাচ্ছেতাই করছে,
গায়ে ওড়না টুকু নেই
আসলে কি জানেন,
শুধু কটা টাকা তো নয়
নিজের রোজগারের টাকা
এটাই আত্ম সম্মান,
মানে নিজেকে নিজে সম্মান দেওয়া,
অন্যের থেকে পাওয়া মান সম্মান নয় কিন্তু
এটা একধরনের যোগ্যতা,
আবার এটাই নিজস্বতা,
এটাই স্বাধীনতা,
এটাই তার মৌলিক পরিচয়
তাই আপনার কাছে কেউ ফলো ,লাইক,শেয়ার চাইলে আর তার কাজগুলো ঠিক আপনার স্টাটাসে ম্যাচ না করলে,
তাকে ছোট ভাবার কোন কারন নেই,
কারন কাকে ফলো, শেয়ার, সাবক্রাইব ,লাইক করবেন সবটাতো আপনারই হাতে তাইনা,
ভেবে দেখুন তো একবার,
যে মেয়েটা বাহারি রান্না দেখায়,
যে মেয়েটা মধ্যবয়সে এসে,
আবার কিছু একটা করবার নেশায় ভুলে যাওয়া নাচের স্টেপ তুলছে,
যে ছোট্ট মেয়েটা মায়ের সাথে আবৃত্তি করছে
অথবা জীবনের শেষ বয়সে এসে,নিজের ছেলে বউমা, নাতি পুতি নিয়ে কদম পিঠা অথবা কুমড়ো পাতায় মাছের তেল ভাজার রেসিপি টা দেখাচ্ছে..আর কাঁপা গলায় কথা বলছে,
যে আশি বছরের বৃদ্ধা...
অথবা সেই সুন্দর বনের বউটির কাদা মেখে নদীতে মাছ ধরা,
অথবা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান গুলো কি মিস্টি গলায় গাইছে যে মেয়েটা...
এরা সব্বাই প্রত্যেকে যে যতটুকু পারে ,যেমন ভাবে পারে
নিজেকে তুলে ধরছে,
প্রত্যেকের মধ্যেই যেটা আছে সেটা হল কিছু একটা করবার স্বাধীন চেষ্টা,
কিছুটা দূর এগোনোর ইচ্ছা..
এই ইচ্ছা ও চেষ্টা মানুষকে কিছুটা দূর হলেও এগিয়ে দিতে পারে
এটাই সত্যি, অসম্ভব রকম সত্যি
এক এক করে বদলে যাওয়া সত্যি গল্পগুলো,আসলে গল্প নয় কিন্তু , এক একটা স্বাধীন জীবন
কিছু খারাপ পোস্ট,ভিডিও,ছবি দেখে যারা বলেন সমাজটা নষ্ট করে দিল এই ফেসবুক,টুইটার ,ইন্টারনেট ,
আসলে তা কিন্তু একবারে নয়,
সমাজ যে দিন তৈরি হয়েছিল, সেদিন থেকে সমাজে সব কিছুই
ছিল ,ভালো মন্দ সব ,সব কিছু
কিন্তু সমাজের সামাজিক চিত্রটা একেবারে পরিষ্কার ভাবে দেখতে পাই সোসাল মিডিয়ার জন্য
সমাজে কিছু খারাপ মানুষের জন্য যেমন আমরা সমাজটা পরিত্যাগ করি না, বরং তাদের এড়িয়ে চলি
এই সোসাল মিডিয়াতেও তাই.
যেন ভালোর সাথে মন্দ ফ্রি,
বাকিটা আপনার চয়েস-