কতদিন সাজিনি আমি,
যেমন করে সেজে নিত আমার গ্রামের মেঠো পথ, শুকনো পাতার ওপর ঝরে পড়া হিজলের ফুলে,
আমি কুড়াতাম দুচার টা তার,
ঝাঁটার কাঠি সূঁচে গেঁথে নিত মালা আমার ছোট্ট বেলার অপটু দুই হাত,
সে একখানা মালা একবার পরি আমি আর একবার পরে খেলার সঙ্গী দেবতা,
কে বা জানত্ তা, কত সেজেছি
দেবতা আর আমি নির্জনে একা একা ,
কতদিন সাজিনি আমি আর তুমি
শীতের সকাল জুড়ে
চোখের সামনে শুয়ে থাকে মাঠ,
কুয়াশার লেপ গায়,
শুকনো ধান গোড়াটুকু কেটে নেয় নিয়ে মন জ্বালায় আগুন
সকাল ,
সূর্যমুখির পাপড়ির মত চারধারে মানুষের মুখ তার গড়ে নিত কালো ছাই বিন্দু এক বৃত্ত,
কত দিন সাজিনি আমি সে বেলার মত,
হয়নি সূর্যমুখি,খুঁজিনি হিজল ফুল গুলি ফোটে কোথায়