সন্ধায় কয়লার উনুনে ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে ওঠে –
গায়ে গা লাগিয়ে বসে থাকে কিছু মেয়ে বউ ,কথা কয় –
বস্তির এঁদো গলি , ছোটা ছুটি করে বাচ্চার দল –
এমন সন্ধায় লুটোপুটি খায় কাদামাখে উলঙ্গ শিশুটি অবাধ স্বাধীনতায় –
এখানেও দুর্গা আসে বাপের বাড়ী –
সস্তা ছাপের বাহারি শাড়ী ,
ঝরা শিউলি পথের মাঝে ,
একতারা হাতে বাউলিয়া মন শারদিয়া গায় গান ।
পৃথিবীর এত কাছে , এত এত সুখ মিশেছে ধূলায় –
আমর দেখার চোখ নেই –
তবু দেখি ,
মণ্ডপ মণ্ডপে ঘুরি, আলোর বন্যায় দুর্গাকে খুজি –
কত বড় বড় উঁচু মণ্ডপ ,কত কারুকাজ, কত আল ঝলমল সাজ –
কত ব্যস্ত মানুষ ,কত আয়োজন –
পুজোর মন্ত্রে কাঁপে আকাশ , আমি অন্ধ একাই দুর্গা কে তখনো পাইনি খুঁজে ?
দুর্গা তবু থেকে যায় চিরকাল , সরু বস্তির গলি , সবার পিছনে একা একা ,
হিমেল হাওয়ায় ভাঙ্গা কয়লা গোলা হাত শিশির ছুঁয়ে যায় ঘাসের উপর ,
ছেঁড়া শাড়ীর গায়ে রাস্তার রঙ্গিন বাহারি আলোর ঝিকিমিকি এসে লাগে ,
এত রঙ্গিন সে হয়নি কখনো আগে –