এক বৃদ্ধ মানুষ একা একা  দুপুর বেলা  গুটি গুটি পায় হেটে আসছেন
যাদব পুর এইট বি বাস স্ট্যান্ডের দিকে –
ফর্সা ধবধবে গায়ের রঙ , চোখে কালো চশমা , ইস্ত্রি করা জামা, বেশ পরিপাটী - হাতে একটা স্টিল বেল্টের গোল পুরানো মডেলের ঘড়ি-
আর মাথায় অল্প কটা সাদা চুল ,
না উনি এই দুপুরে  বাসে করে কোথাও
যাবেন না ,
উনি আসলে এসেছেন  
বাস স্ট্যান্ডে র পাশে একটা বাঙালি ভাতের হোটেলে-
যেমন রোজ আসেন,
এসে বসেন  কোনের একটা টেবিলে,
তারপর হাত ঘড়িটার দিকে একবার তাকিয়ে নিলেন,
১২টা ৫-
এসময় হোটেলে তেমন ভীড় থাকে না –
দু এক জন আসা যাওয়া করে –
প্রতিদিনের  এই দৃশ্যটা আমার আজকাল খুব চেনা লাগে ,
ওয়েটারের কাছে শুনেছি,
উনি রিটায়ার্ড পারসেন , স্ত্রী গত হয়েছেন ,
ছেলে বিদেশে বড় চাকরি করছে ,বৌমা নাতি পুতি সব ওখানেই –
তাই সহসা দেশে ফেরা হয়না–
নিঃশব্দে উনি খেয়ে উঠে চলে যান –  
অতি ব্যাস্ত কলকাতার উজ্জ্বল আলোয় ,
দেখি এরকমি কত নিঃসঙ্গ জীবনের নিঃশব্দ গোধুলি বেলা ,
এই নীরবতা ,নিস্তব্ধতা ,নিঃসঙ্গতা  
চুপি চুপি বলে যায় কানে কানে  আমায়–
তুমিও তো ছুটছ দেখি স্কুলের ভারি ব্যাগ কাধে,
ফুটফুটে ছোট্ট ছেলে কোলে,  
মানুষ করবে বলে -