বেকার
সংহিতা

আমি এমন মানুষকেও চিনি যে চল্লিশ বছর বয়সে  স্ত্রী, পুত্র ,কন্যা নিয়ে বাবা দাদার কাঁধে বসে থাকে আর বলে সে বেকার |কোন চল্লিশ বছরের মানুষ যদি নিজেকে বেকার বলে তাহলে জানবেন তাকে বেকার তৈরি করার জন্য তার পরিবার দায়ী, কারন তার পরিবার তাকে চিরকাল কাধে করে বয়ে এসেছে কিন্তু তার কাধে কখনো কোন দায়িত্ব চাপায়নি, আর এই ছেলেরাই এক এক করে পরিবারের সমস্ত সম্পদ নষ্ট করে,বাবা ,ভাই এর রোজকারর টাকায় বিয়ে করে, জমি জায়গা বিক্রি করে দেয়,ঘর বাড়ি বন্দক দিয়ে দেয় ,মা ,বৌ বৌদির গয়না বিক্রির জন্য টানাটানি করে ,বাড়ির সবাইকে অতিষ্ঠ করে তোলে কারন সে বেকার,এই সব ছেলেদের কোন কাজ করবার কোন যোগ্যতাই থাকে না,এরা সব সময় নিজের রোজগেরে ভাই বা দাদার সংসার ভাঙানোর চেষ্টা করে যাতে ভাই বা দাদার রোজগার ,জমি জমা, বাড়ি একা ভোগ করতে পারে, এরা  বেকার  হওয়ার কারনে সারাজীবন বাবা ,মা, দাদা আত্মীয় স্বজনের সহানুভূতিও পায়...তাই এরা সারাজীবন বেকার থেকে যায়....আর এই বেকারের বোঝা, বেকারের সংসারের বোঝা , সারাজীবন বইতে হয় পরিবারের রোজগেরে মানুষটিকে মুখবুজে ,কিন্তু তারপরেও দিন শেষে তাকেই অপবাদ,অপমান নিন্দা মাথায় নিয়ে ঘর ছাড়তে বাধ্য করে বাবা মা কারন যত টাকার প্রয়োজন তত টাকা দেবে রোজগেরে ছেলে , তাই বেকার ভাইয়ের চাকরি করা দাদারা সাবধান, অতিরিক্ত মাত্রায় দেনা করবেন না, নিজের তৈরি বাড়িতে বেকার ভইকে থাকতে দিন,কিন্তু বেকার ভাইয়ের নামে অংশ দেবেন না, তাহলে কিছুদিন পর আপনার মা বাবা ভাই আপনাকেই বাড়ি থেকে কোন না কোন অজুহাতে অশান্তি তৈরি করে বের করে দেবে ,আর আপনার বাবা মা আপনাকে সমস্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করবে এবং তা বেকার ছেলেকে দেবে,আপনি শুধু পাবেন অপবাদ আর অপমান সবার থেকে, তাই বাড়িতে বেকার ভাইয়ের চাকরি করা দাদারা সাবধান, আর যদি চান ভাই রোজগেরে হোক,দায়িত্বশীল হোক তাহলে ভাইয়ের পঁচিশ বছর বয়স থেকে তাকে নিজের টা নিজেকে চালাতে বলুন, তাহলে বেকার নাম ঘোঁচাতে বেশি সময় লাগবে না আর সে আপনাকেও সম্মানের সাথে বাঁচতে সাহায্য করবে|আর তা হলে বেকার ভাইয়ের বোঝা কাঁধে মৃতপ্রায় গাছের মতই দাঁড়িয়ে থাকবেন, যেকোন ছোটখাট ঝড়ে পড়ে গেলে আর সহজে উঠে দাঁড়াতে পারবেন না  |