ছেলেকে ছোট থেকে সবসময় বলছি,
ভালো রেজাল্ট চাই, আরো ভালো মার্কস চাই,
না একশ তে নিরানব্বই হলে চলবে না, ফোকাস করো, একশো তে একশই চাই প্রতিবার,
এত প্রাইভেট টিউটর, এত বই ,
মাইনের সব টাকাই তোমাকে মানুষ করার জন্য ঢেলে দিচ্ছি,
তাছাড়া তুমি তো ব্রিলিয়ান্ট,
কারুর থেকে এক নম্বর কম পাওয়া উচিৎ নয় তোমার-
সামনে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বড় বড় পরীক্ষা,
ছোট্ট ছেলেটি দেখতে পায়,
তার পড়ার যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে,
তাই বাড়িতে কোন আনন্দ নয়,অনুষ্ঠান নয়, অথবা হলেও তার উপর তলা থেকে নিচে নামা বারন,আবার নিচের তলা থেকে উপরে উঠাও বারন বাড়িতে আসা সবার,
ছেলেটির মা সজাগ সতর্ক একেবারে,
বাড়িতেজোরে কথা নয়,হাসাহাসি নয় সব্বাইকে পই পই করে বুঝিয়ে দেয়
একটি ছেলেকে মানুষ করছে তার মা বাবা,
ছেলেটা বড্ড ব্রিলিয়ান্ট,
একটা মিনিট ও বেশ ইমপরটেন্ট, নষ্ট করা যাবে না,
ছেলেটি দুর্দান্ত রেজাল্ট করে স্কুলে,
তবু তার থেকে এক দুই নম্বর কেউ বেশি পেয়ে গেলে
মা বাবা ঘুম উড়ে যায়,
কেন কম,কেন অন্যের নম্বরটা বেশি,
আরও বেড়ে যায় পড়ার টাইম, আরো কমে যায় বাথরুমে যাওয়ার সময় টুকুও,
সর্বক্ষন পড়া আর পড়া,কোন অবসর নেই, দাদু ঠাকুমার সাথে গল্প নেই,
কোথাও কখনো গেলে কারুর বাড়িতে, ছেলেটির এক ঘন্টার বেশি থাকা বারন, বেশি কথা বলা বারন, জোরে হাসা বারন, সে সব লক্ষ্য রাখছে তার বাবা মা ,
মাঝে মাঝে এসে বলে যাচ্ছে এরকম করা ঠিক না, ওটা উচিৎ না, ছেলে একটু আধটু কথা না শুনলে সাথে ফেরত বাড়ি নানা অজুহাতে,
বাবা মায়ের এত পরিশ্রমের পর ছেলেটি দুর্দান্ত রেজাল্ট করলেও, কিন্ত মা বাবার মনের মত রেজাল্ট করতে পারেনি কারন মেডিকেলে চান্স পায়নি ,
মেডিকেলে চান্স না পাওয়া একটি ব্রিলিয়ান্ট ছেলের আত্মহত্যার সমান