সে দিন থেকে কিছু লিখতে পারিনি আমি –
যে কবিতা কে আমি সব থেকে বেশি ভালবাসতাম ,
হঠাৎ মনে হয়েছিল ,আমি যেন তাকে কোনদিন ভালোইবাসিনি –
মাথাটা কেমন ঝিম হয়ে এসেছিল –
আমার সব জানা , অজানা লাগছিল তখন –
আমার সব অনুভূতি কেমন ওলটপালট ,
আমার মধ্যেই জন্ম নিচ্ছিল এক নতুন আমি –
সেই নতুন আমি আমাকে দেখে হাসছিল ,আর বলছিল –
কে তুমি? কবিতা খুঁজে বেড়াও , আর তায় শব্দের রঙ ছড়াও ?
আমি তাকে কিছু বলতে পারিনি তখন ।
তখন সূর্যের নিস্তেজ আলো ছুঁয়ে যাচ্ছিল নুয়ে পড়া অর্ধ উলঙ্গ কাদামাখা এক কৃষকের গায় –
ট্রেনের দুরন্ত গতিতে জানালার বাইরে গোলাকার মাঠ আর এক একাকী কৃষক ,
যে কিনা তখনো বীজ বুনে চলেছে একা একা –
আমি নিশ্চিত ছিলাম ওই বীজ থেকে জন্ম নেবে সবুজ সোনালি ধান ক্ষেত –
ওর সমস্ত আশা, স্ব্প্ন সোনালি ধান হয়ে উপচে প ড় বে -
আমি কি তখনো কবিতা লিখব ?
কিন্তু কার জন্য ।
আমি জানি ,
যতই লিখি না কবিতা আমি ,
আমার কবিতা একটা ধানের কনাও ফলাতে পারবে না ঐ কৃষের মতো যতই প্রস্তুত করি না উর্বর শব্দ ভুমি ?