আজকাল মেয়েরা সব চাকরি করবে, রোজগার করবে ,
পুরুষ মানুষের সমান হবে,
আজকালকার বউদের বরের প্রতি কোন টান থাকতে নেই, ছেলেটা বাড়ি ছেড়ে অতদূরে থাকে, হাত পুড়িয়ে রান্না করে খায়,
বাচ্চাটাকে একটু ছুতেও পরে না..
আমি কোনদিন বাবুর বাবাকে রান্না ঘরে যেতেই দিই নি,
কি যে দিন কাল পড়েছে , সংসারের কোন ছিরি ছাঁদ নেই
বর একজায়গায় তো বউ আর এক জায়গায়,..
কে কার কথা শুনছে...
সকাল সকাল শাশুড়ি মায়ের মুখে এসব কথা শুনতে শুনতে মেঘ চায়ের জলটা চাপিয়ে দেয়,
সকাল সকাল এক কাপ মনের মত চা পেলে শাশুড়ির মুখ মিনিট দশেক বন্ধ থাকে
তাতে মেঘর একটু হলেও শান্তি...
তারপর আবার ওই একই কথা শুনতে শুনতে মেঘ রান্না বসাবে,চটজলদি সংসারের টুকিটাকি কাজ সারবে,
মেয়ে ঘুম থেকে উঠলেই তাকে নিয়ে কাজ সামলানোই মুশকিল,
কিন্তু সকালে আজ সকালে শাশুড়ি মার ঘরেআওয়াজ না পেয়ে মেঘ দরজার ফাকে একটু উকি দিয়ে দেখল...
দেখল শশুর এবং শাশুড়ি মা গম্ভীর হয়ে চুপ হয়ে বসে আছে,
আর ফোনে কারো কান্নার আওয়াজ,
মেঘ একটু ভয় পেয়ে চা এর কাপ টা নিয়ে শাশুড়িমার ঘরে ঢুকে টেবিলে চা টা রাখতেই
মেঘের দুটো হাত ধরে কাদতে শুরু করল শাশুড়ি মা...
আর বলল মা তুমি এতদিন বলোনি কেন , বাবুর চাকরিটা আর নেই..
মাত্র তিন দিনের নোটিশেএত বড় চাকরিটা চলে গেল,
মেঘ শাশুড়িকে আস্বস্ত করে বলল , এখন মন্দা চলছে
চাকরি যেতেই পারে,
মন্দা কেটে গেলে আবার চাকরি পাবে,
চাকরি হারিয়ে বাড়ি ফিরে এলে নানা লোকে নানা কথা,
আপনাদেরও বয়স হয়েছে
তাই ওকে বলেছিলাম এই সময় এম টেক ডিগ্রিটা করে নিতে,
আর আমি তো একটা চাকরি করি মা,
ঠিক চালিয়ে নিতে পারব,
এবার বউমাকে জড়িয়ে ধরে বলেলন , এই বুড়ো বুড়িদুটোকে পারলে ক্ষমা করে দিস মা...
কিছুদিন পর ছেলে বাড়ি ফিরল, সাথে এম টেক ডিগ্রি ও হাতে একটা চাকরির আপোয়েন্টমেন্ট লেটার..