লেখা জুখি নেই,তবে খেয়াল করলে বলতে পারি সাহিত্য চর্চার সাথে সহবাস করি সেই কবে ১৯৮৮ইং সাল থেকে। তখন ক্লাস এইটে পড়ি। নজরুলের লিখা পড়েই কবিতার প্রতি আসক্তি জন্মে। শুরু করি সাহিত্যের জগতে অনুসাধনা।
আমার জীবনে প্রথম থেকেই শুরু হল সতীনের সাথে সহ যাত্রা ।
সতীনের ঘর করি বলেই সতীন আমায় পথে এগিয়ে চলতে দেয় না।আমার উন্নতি তার পরম হিংসা;সে চায় আমার ভিখারি দশা। আমার যশ-খ্যাতিতে তার চরম নিন্দা।তবু কষ্টে সৃষ্টে তার সাথে ঘর করে আসছি আমার সহস্র রাতের নিদ্রা জলের ধোয়ায় বিদারিত করে।তবু সতীন আমায় পথ রুদ্ধ করে রাখে, আমার চলার গতিকে সে শ্লথ করে কাননের পথ ভুলায়ে এক জীর্ণ পথে নিয়ে যেতে চায়।
নজরুল, রবীন্দ্রনাথের মত বিশ্বের বড় বড় কবিদের বেলায়ও তাই দেখেছি যে,তারা সতীনের ঘর করতেন না। কিছুদিন সতীনের ঘর করে থাকলেও পরে সতীনকে ত্যাগ করেছেন,বর্জন করেছেন। সাহিত্যে সতীনের ঘরে সুখ নেই উন্নতি নেই। সরস্বতী দেবী বুঝি সতীনের ঘর করাকে নির্ঘাত অপছন্দ করেন বিধায় এই সংসারে এ হীন দশা।আমায় কানে কানে কোন এক ভিন্ দেশী এসে ফিসফিসিয়ে যেন বলে গেল "Literature does not like co-wife.Give up her as possible . " ভিন্ দেশীর কথা মনের গেহে যতন করে রেখে দিলাম।
সতীনকে ত্যাগ করা ও বড় মুশকিল। যদি না সাহিত্যে মাথা তুলে দাঁড়ানো যায় তবে না জুটিবে থালার ভাত, না জুটিবে খ্যাতি।