প্রিয়তম, তোমায় প্রথম দেখেছি
জ্যোৎস্না প্লাবিত মায়াবী সন্ধ্যায়
শাল পিয়ালে ঘেরা মেঠো পথে.
স্বর্গোদ্যানের অনুভব জেগেছিল সেদিন মনে৷
তোমার জাদুমাখা চোখের দিকে তাকিয়ে
আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে৷
এ ছিল এক অভুতপূর্ব অনুভূতি ৷
হয়তো বা তুমিও হারিয়ে গিয়েছিলে আমার চোখে৷
নিস্তব্ধ সেই ক্ষণে চাঁদের আলোয়
তোমার মায়াভরা মুখ খানি হয়ে উঠেছিল
আরো মোহময়, আর আমি ধীরে ধীরে
ভেসে যাচ্ছিলাম সেই মুহূর্তের খুশির বন্যায়৷
দুজনেই নিরব, আমার কৌতুহলী মন খুঁজতে চেষ্টা করেছে
তোমার মনের ঠিকানা৷
মধ্যযৌবনের উষ্ণতায় বার বার পেতে চেয়েছি
তোমার হাতের একটু স্পর্শ।
গায়ের সুমিষ্ট গন্ধ আমাকে পাগল করে দিয়েছিল,
ঐ নির্ভরযোগ্য বুকে মাথা রেখে
হারিয়ে গিয়েছিলাম অবাধ্য যৌবনের উন্মাদনায় ৷
চেয়েছিলাম দীর্ঘায়ীত হোক এই মধুমিলনের ক্ষণ৷
কিন্তু না,সে সুখানুভূতি উপভোগ করার মতো
ভাগ্য আমাদের ছিল না ৷
আমাদের বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবি ছিল ৷
ছেড়ে দিতে হলো হাত ৷
উদ্বেলিত হৃদয়ের অশ্রুতে পিছল হয়ে উঠলো
আমাদের ফেরার পথ ৷
ফিরে গেলাম আমরা আমাদের মরুস্থলে৷
আজও মনের মণিকোঠায় সযত্নে রক্ষিত আছে
সেদিনের সেই স্বপ্নসম সুখানুভূতির কয়েকটা মুহূর্ত ৷
জানি আর কোনোদিন আসবে না ফিরে সেই মধুক্ষণ
তবু আজও আছি অপেক্ষায়
যদি পাই ফিরে সেই অমূল্য সময়।