রবিবারের গল্পটা বলি শোনো।
আলোর বেগে ছুটছে ঘড়ির কাঁটা,
হিটলারের ইহুদি বিতাড়নের ফরমান হাতে,
ট্রাম্পের মেক্সিকো পাঁচিলের চেয়েও দ্রুত তালে,
আইনস্টাইনের আই কিউ কে হার মানিয়ে,
ঘুম ভাঙল সকাল দশটায়।
বাইরে মেঘলা আকাশ, সামনের পাহাড়টা বেয়ে মঙ্গলিয়ান সেনাদের মত মেঘ নামছে হুহু করে।
ফ্রিজের আওয়াজটা থামতেই বুঝলাম, এই শান্তির কারন হল আজ রবিবার।
ঘুম ভাঙার পর প্রথম কাজ হল মোবাইলটা খোঁজা।
আজকের দিনটার শুরুর সুর্খিয়াটা এই রকম
"এ তুমি কেমন তুমি দুপুর অবধি বেঘোরে ঘুমাও
এ কেমন পাগল তুমি রান্না করে হাত পোড়াও"
প্রেরককে অশেষ ধন্যবাদ দিয়ে একটু দাঁত বার করে বাঁসি মুখে হাসলাম।
আসে আরো দুচারিটা প্রভাত বেলার সম্ভাষণ,
মধ্য দুপুরে উত্তর করি এমনই কাটিছে দিনক্ষণ।
আজ রবিবার ঘর সাফ করার দিন,
সরকারের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মত হচ্ছে হবে করতে করতে,
কোলকাতার শীতকালের মত আসছি আসব করে করে,
বিশ্ব অলসের কুঁড়েমিকে হার মানিয়ে,
অবশেষে জেহাদ ঘোষণা করলাম
আমার ঘর, (হলই বা ভাড়ার) করব না পরিষ্কার, দেখি কে কি করে।
স্নান সেরে এসে এগারোটার সময় একস্ট্রা লার্জ এক কাপ ক্রিম দেওয়া দুধে চারচামচ চিনি দুচামচ ব্রাজিলিয়ান কফি।
ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছে টাপুর টুপুর,
মনে এল আলসেমির বান,
ফোনে বাজছে রবিঠাকুরের গান।
"এমন দিনে তারে বলা যায়,
এমন ঘন ঘোর বরিষায়"
বাকিটা? বাকিটা আজ থাক।
সিরিয়ালের চির অসমাপ্ত গল্পের মত,
একঘেয়েমি জীবনের রোজনামচা
রোজ রোজ নাহয় না'ই শুনলে;
আদেশ উপদেশ যে যার মত বাতাসে বাতাসে এসে চলে যায়।
ইচ্ছেরা হারিয়ে যায় স্বপ্নের বাঁকে।
নিস্তব্ধে সেটাই হয় যা হওয়ার থাকে।
কিছু স্তব্ধতা জেনো তবুও ভালো মিথ্যা কলরবের চেয়ে।