মুখ ঢেকেছিল হাতের আড়ালে, সত্যিটা ঢাকেনি,
স্বপ্ন দেখেছিল ঘুমের ঘোরে, বাস্তবটাকে দেখেনি,
অনেকগুলো সেলাই পড়েছিল, সভ্য মানুষের বর্বরতা ঢাকতে।
জ্যন্ত মানুষটার কাপড় খুলে নিলে মাঝরাস্তায়, এখন মরা দেহটায়
যত্ন করে আপাদমস্তক কাপড়ে ঢাকছ?
পুলিশ প্রশাসন কেই বা কি করলো অনেককেইতো পুশে রেখেছ,
ওই সেলাই গুলতে পারবে আর মলম লাগিয়ে ঠিক করতে?
কিসের দর্প? ক্ষমতার? শক্তির? পৌরষের?
লিখে নাও আমি বলছি তিনটের কনটাই তোমাদের ছেলেদের নেই।
বংশ রক্ষা হয়তো করেছে, কিন্তু মান রক্ষা হল কি?
ওহ! আমি ভুল বললাম, ছেলের বাপেদের কোনোদিন মানহানি হয় না।
দোষটা তোমাদের বাবুসোনাদের নয়, দোষটাতো নির্লজ্জ ওই মেয়েটার আর তার
বাবা মায়ের যারা বুঝেছিল নিজের ইচ্ছামত কাপড় পরাটা বুঝি মানুষের স্বাধীনতা।
যারা ভুল ভেবেছিল যে কোন মেয়েও অনেক রাত্রে কাজ সেরে বাড়ি ফিরতেই পারে।
তারা জানত না, রাতটা তোমাদের অবাধ্য পোষা কিছু জন্তুদের খোলা ছেড়ে দেয়ার সময়।
তোমরা বোধহয় জান না, হিংস্র জানোয়ার পুষলে গলির মোড়ে পোস্টার দেয়া
উচিৎ, যাতে কোন বাবা তার মেয়েকে সাবধান করার সুযোগটুকু পায়।
টিভি মিডিয়া অনেকে অনেক কথা বলেছিল, ভালো মন্দ যে যার মনের মত বা সুযোগ মত, অনেক তো করেছিল রাতের রাস্তায় মোমবাতির মিছিল,
তারপর সব মিলিয়ে গেল, কিন্তু মেয়েটা ফিরল না।
সব আলো নিভে যেতেই গলিটায় আবার সেই অন্ধকার, আবার তোমার যত্নে লালিত স্নেহের লাম্পট্যের দুর্বার দাপাদাপি; আবার খবরে অন্য একটা গল্প।
নগ্ন অত্যাচারের ছিন্ন ভিন্ন দেহ তবু আশীর্বাদীর আংটিটা আঙ্গুল থেকে কিছুতেই খোলা যাচ্ছিল না;
চুল্লিতে ঢোকানর আগে শেষে সেই করাত দিয়েই কাটতে হল।