-আজ কোথায় বৃষ্টি হল বলতো? বেশ হালকা ঠান্ডা বাতাস আসছে জানালা দিয়ে।
-আজ বৃষ্টি হয়েছে আমাদের মন জুড়ে। সেই ভিজা বালিয়াড়ির সোঁদা গন্ধ পাচ্ছ তুমি।
-যা! এলেন আমার রবীন্দ্রনাথ। কী যে একটা বল না মাঝে মাঝে।
-জানলা খুলে দাও প্রিয়তমা, এই ঠান্ডা বাতাস এসে লাগুক আমাদের কলিজায়। রিফ্রেস করে দিক আমাদের জমে থাকা যত গিলে সিকয়ে!
-যা! রবিবাবুর বাংলার স্টক খতম।
-ধুস্ দিলে তো রোমান্টিক মুডটা নষ্ট করে। এই তোমার না এই জন্য কোনো উন্নতি হল না।
-আমার না হয় উন্নতি হল না, তোমার কি হল শুনি। ওসব ইঞ্জিনিয়ার না আজকাল পাড়ার রকে বসে আড্ডা মারে।
-আচ্ছা তো তোমার মনে হয় আমি পাড়ার রক বসে দিনরাত আড্ডা মারি আর তাস পেটাই?
-কি যে রাজ কার্য কর তা তুমিই ভালো বলতে পারবে।
-দেখ আবারও ঠান্ডা মাথায় বলছি, চাকরি নিয়ে খোঁটা দেবে না। এর পর রেগে গেলে...
-রেগে গেলে কী? কী রেগে গেলে? মারবে? ওটাই বাকি আছে তো?
-না, মারব কেন? আমি তোমার মত মারকুটে নই, যে কথায় কথায় হাত চালাব।
-কী!!! তুমি আমাকে মারকুটে বললে?
-যে যা তাকে সেটা বলতে লাগে না।
-বেশ আমি জানালাটা বন্ধ করে দিলাম।
-কেন জানালাটা কি দোষ করল?
-এটা আমার সাইড আমি যা ইচ্ছা করতে পারি।
-বেশ, তাহলে আমি ফ্যানটা অফ করে দিলাম, সুইচটা আমার সাইডে আছে।
-সুইচটা তোমার সাইডে থাকলেও ফ্যানটা দুজনের মাঝে আছে। অভদ্র ঝগড়াটে লোক একটা!
-জোর জার মুলুক তার। আজ ফেয়সলা হয়েই যাক। অসভ্য মারকুটে অভদ্র মহিলা।
এরপরটা ইতিহাস। আলাদা করে বলতে হবে কি?