স্বাধীনতা তোকে কি দিয়েছে মেয়ে?
আজও তোর চোখের নীচের কালসিটে ঢাকতে তোকে চড়া মেকআপ করতে হয়।
আজও তোর পিঠে বেল্টের দাগগুলো ঢাকতে শাড়ি ছেড়ে সালোয়ার পরতে হয়।
তুই না স্বাধীন দেশের নাগরিক?
তবু কেন রোজ রাতে পশুদের লোভের সামনে তোকে নগ্ন হয়ে দাঁড়াতে হয়?
তবু কেন রাতে গলিটা দিয়ে আসতে আসতে বার বার শুকনো দৃষ্টিতে এদিকে ওদিক তাকাতে হয়!
তোর দেশের রাজা বলেছে তুই স্বাধীন।
তথচ কেমন করে জানি তোর সমাজ তোকে বলে গেল তুই নষ্টা মেয়ে।
কেমন করে জানি তোর পোশাক দেখে ওরা বলে দিল 'নির্লজ্জ মাগী'।
তুই স্বাধীন মেয়ে।
দেখ তোর হাতে নেই হাতকড়া, পায়ে নেই বেড়ি।
কিন্তু তুই ঘরের চৌকাঠ ডিঙালেই তোর মরন।
তুই চরিত্র হীনা,
কিন্তু তুই নিজের মতো ঘুরে বেড়ালেই তোর বিপদ।
তুই বেশ্যা
ওরা তোকে ইচ্ছে মত ছিঁড়ে কামড়ে আঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দিয়ে যাবে
ভোরের আলোয় তুই মুখ ঢাকবি চোখের জলে
আর ওরা বুক ফুলিয়ে পৌরুষ দেখাবে বাজারে।
ওরা রোজ রাতে বাড়ি ফিরে তোকে অপমানিত করবে, লাঞ্ছিত করবে।
দিনের আলোয় তুই মিথ্যে ভালো থাকার ভান করবি,
আর ওরা বুক ফুলিয়ে শাসন করবে সমাজে।
এই তোর স্বাধীনতা।
তুই দুর্বল মেয়ে।
তুই এতটাই দুর্বল যে তুই তোর ছেলেকে শেখাসনি অন্যকে সন্মান করতে হয়।
তুই তোর ছেলেকে বলিসনি মেয়েরা ভোগ্য পন্য নয়।
তুই এতটাই দুর্বল যে তুই একবারও তোর ছেলেকে বলিসনি তুইও একটা মেয়ে।