হয়তো তোমাকে লেখা এ আমার শেষ চিঠি । এভাবে আরো অসংখ্য চিঠি লিখেই কুটি কুটি…আরো অনেক চিঠি তোমার টেবিলে, দেরাজে, তোমার বাড়ির দরোজায় অতি অবহেলে তোমারই মেঝের ধুলো কুড়িয়েছে ।
কখনো বা ছিন্ন ছিন্ন টুকরো হয়ে ওয়েস্ট পেপার বাসকেটে অথবা ছাই হয়ে ডাস্টবিনে,এভাবে প্রতিদিন একটু একটু করে তোমার বদলে যাওয়া! চোখেরই সামনে পোশাকী প্রেমের বেসাতী দেখতে দেখতে হৃদয়ের পাঁজর ভেঙেছি ।
ফোনেও তোমায় খুঁজেছি বহুবার…। শুনেছি বাড়ি বদল করেছো, আমায় এড়াতে? নাকি নিজের কাছ থেকে পালিয়ে বাঁচতে? পালিয়ে কি বাঁচা যায় ?
জানি আমি, তুমি কখন কোথায় কেমন থাকো। আমিতো ইচ্ছে করলেই দেখতে পাই তোমায়। এইতো সেদিন শেষ বিকেলে অফিস থেকে ফিরছিলাম, তুমি যাচ্ছিলে রিক্সা করে, খুব আনমনে, হাতে সিগ্রেট, কী ভাবছিলে অত ? তোমায় প্রথম দেখার দিনের সেই অফহোয়াইট চেক শার্টের সাথে নীল স্ট্রাইপ টাই, তোমায় কিন্তু দারুণ স্মার্ট লাগছিল। ঠিক ইউনির্ভাসিটির সমাবর্তণীর সেই ছবিটির মতো ।
একটা অদ্ভুত ব্যাপার কী জানো? আজকাল খুব জরুরি প্রয়োজনে অতি পরিচিত নম্বরে রিং করতে গেলেও মনের অজান্তে হাতের আঙুল যে নম্বরের বাটনগুলো টিপে ফেলে সে তোমারই।
রিং অপর প্রান্তে পৌঁছানোর আগেই কেটে দেই আবার, কারণ এতোদিনে অন্য অনেক কিছুর মতো তোমার নম্বরও বদলেছে নিশ্চয়ই।
এতো কিছুর পরেও এতোদিন পরেও তোমায় ঘেন্না করতে পারলাম না, কেন জানো? তোমার আগে আর কেউ কখনো স্বপ্নের রঙতুলিতে ভেনাসকে আঁকেনি আমার মধ্যে। সে কি কেবলই না পাওয়া?