কেউ তো খুলেছে প্রতিবাদী মুখ,
কেউ দেখেছে প্রতিবাদের চোখ,
কেউ তো বলেছে প্রতিবাদের ভাষা,
কেউ তো জাগিয়েছে জনসমুদ্রে আসা।
বসে আছে তারা উপরে রাজমহলের ভেতরে,
কাম-ক্রোধ-রাগ-লোভ এগুলোই তাদের চেতনা,
জন সাধারণের কষ্ট-দুঃখ তারা এসব বোঝেনা,
জনরোষে এইসব রাবণের মাথা পুড়ে না।
প্রতিবাদী হঠাৎ প্রতিবাদের শিকার,
শিকারীরা দিব্যি বেঁচে যায়; করে সব অস্বীকার।

এখনো সেই শিকারী ফাঁদ পেতে যায়,
কোনো এক আধাঁর রাত সেই প্রতিবাদী নারীর নেই কোন খোঁজ,
রাজ মহলের ভিতরে রাজকীয়তার আড়ালে কত শত প্রতিবাদীর দেহ হচ্ছে ভাগ।
অথচ বর্বর সেই মহল উঠলো গড়ে,
এই সব জনমানসের বিশ্বাসের এক আঙুলের ছাপ।

রাজকিয়তার আড়ালে ওরা সবাই রঙ - রূপ - বর্ণের লালায়িত-লোভে,
ওদের চরিত্র খারাপ তাই তোমার চরিত্র খারাপ করে।
নারী তুমি সহনশীলতা ছেড়ে প্রতিবাদী রূপ ধরো,
শিক্ষা সংস্কৃতি - আচার আচরণে তুমিই পরিবর্তন আনতে পারো।
ঐ বর্বর পুরুষ মানসিকতা সমাজ তুমি ধ্বংস করো,
সব সমাজে শেষ হোক বর্বর আচরণ অসহ্য নির্যাতন।
সুস্থ মানসিকতা এবার তুমি জেগে ওঠো,
সুস্থ্য পরিবেশ অধিকারের দাবি তুমি তোলো।
সুস্থ সমাজ গড়ে উঠুক ভয় ডর উপেক্ষা করুক,
সুস্থ সমাজ সুস্থ পরিবার সুস্থ জনগণ সবাই এক হউক।

মোমবাতি জ্বললো কেউ না কেউ জীবন দিলো,
কোনো না কোনো প্রতিবাদী শেষ হলো।
আর কত জীবন যাবে মোমবাতির মোম ফুরাবে?
প্রতি দিন প্রতি রাতে কেনো এমন হবে?
ঊষ্ণ শরীর ঘষে মোম গলাচ্ছে,
এখন ঠাণ্ডা সেই নিথর দেহ।
দেহ গলে গিয়েছে আর কত হিসাব তুমি রাখবে?
মিছিলের পর মিছিল আবার মিছিল,
গলে যাওয়া সেই মোমের অধিকারের দাবি,
প্রতিবাদ এখন হাতিয়ার প্রতিবাদী এখন চাবি।

চাইনা তুচ্ছ কোনো অধিকার চাই পূর্ণ অধিকারের পূর্ণতা,
চাই ঐ সব বর্বর মানসিকতার পূর্ণ কঠিন শাস্তি।
পুরুষ নারী নির্বিশেষে সবাই গর্জে উঠুক,
আর কোনো মোমবাতি না জ্বলুক।

সময় হয়েছে ছিন্ন-বীণায় নতুন তার বেঁধে গলায় গলা মেলাবার,
জীবনের জয় - গান আরো একবার বাজিয়ে নেওয়ার।
প্রতিবাদের ঝড় চারিদিকে ছড়িয়ে দাও,
আওয়াজ তোলো নিজের অধিকার ছিনিয়ে নাও।
আগামী দিনের সাফল্য দুহাতে ধরে রাখতে,
আজ সকলে প্রতিবাদে একজোট হও।

সুস্থ্য পরিবেশ; সুস্থ্য সমাজ গড়ে উঠতে থাকুক,
জীবনের জয় - গান বাজতে থাকুক।
জয় - গান বাজতে থাকুক।




                                              @sander