*পড়ছে মনে কাজলা দিদি*
পড়ছে মনে আমার মাগো কাজলা দিদির কথা,
শ্লোক গুলো সব দিদির বলা এখনো মনে গাঁথা।
বাঁশ বাগানে মাথার ওপর চাঁদ এখনো ওঠে,
কিন্তু পুকুর পাড়ে নেবুর তলে জোনাকি না আর জ্বলে।
ফুলের গন্ধ পাই না মা আর, রাত জাগাটাও নাই,
কাজলা দিদির আবছা স্মৃতি আসছে মনে তাই।
আর যে ডাকা হয়না কারোর দিদির নাম ধরে,
তুমিও তো মা চোখ মোছোনা,আর আঁচল দাওনা মুখে।
খাওয়ার সময় আর পড়েনা দিদিকে কারোর মনে,
ও ঘর থেকে আসবে দিদি আসেনা আর মনে।
আজকে কেনো দিদির কথা আসছে এত মাথায়,
জানিনা এখন দিদি আমার আছেন তিনি কোথায়।
দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে কতই জন গেছে হারিয়ে,
আমি এখন একলা ঘরে একা বসে ভাবী,
আমিও যদি হারিয়ে যেতাম হতে কি মা তুমি খুশি?
শিউলি গাছ আর নেই বাগানে, ভরাট পুকুর ঘর উঠেছে,
ডালিম গাছের বুলবুলিটাও কোথায় যেন গেছে উড়ে,
দিদি আসিস না আর তুই এখানে,
নাই যে মজা আর,
জানিনা কেন তোর কথা আজ পড়ছে মনে আমার।
আজও সেই বাঁশ বাগানে চাঁদ দেখা যায় ওই,
রোজ কেনো পড়েনা মনে কাজলা দিদি কই।
পাঁচিল ধারে, ব্যালকনিতে, কুকুর ডাকে পাড়ার মোড়ে,
একলা শুয়ে দিদির জন্য আজ হচ্ছে মনে ব্যাথা,
জানিনা মা আজ কেনো পড়ছে মনে কাজলা দিদির কথা।।