মধুমিতার ফোন আসে,
সুচিস্মিতার ফোন আসে,
সবিতারও ফোন আসে।
কারো মেয়ের বিয়ের নেমন্তন্ন -
কারো চাই কবিতা আবার
কারো ফোনে বিজয়ার প্রণাম।
আমি কি সত্যি এসবের যোগ্য
ভাবছি.... অতীতকে।

ওর সমাধি কোথায় দেখিনি
তাকে দেখেছি খুব কাছ থেকে
দীর্ঘ ছয় বছর...
তারপর পার হয়ে গেল এক কুড়ি বছর
এখনো কত স্পষ্ট পাপের শব্দগুলো
বুক ধরফর করে উঠলো
না ভয় পাওয়ার তো কিছুই ছিল না
জন্ম মৃত্যু বিধাতার লিখন
কদিন আগে আর পরে
হাসি কান্না অক্ষর গুলো আছে
ডায়েরির ভাঁজে ভাঁজে।
কানের গভীরে ধ্বনী এখনো বাজে
শুকনো অশ্রুর বাদামি আঁচ
কুন্ডলী পাকিয়ে নীরবে কাঁদে।

বন্ধ্যা অতীত আমাকে নিথর করে।
নৃশংস স্মৃতি গুলো উঁকি দেয়
ব্যস্ততার আনন্দ মহলে।

বয়স পরিবর্তনের সাথে সাথে।
সময় কাটানোর ইসু পাল্টে গেছে।
ডায়েরির পাতায় আর লেখা হয় না।
এলোমেলো অতীতের বেড়াজাল খুলতে খুলতে বর্তমানে মসৃন পথে পিছলে দুমড়ে পরি
আবারো উঠে হাঁটতে থাকি
স্মৃতির মালা গাঁথতে থাকি 'মুখবই' এর পাতায়।

সেথায় নিজের ঢোল নিজেই পেটাই
তাতে কে কি বলল কিছু যায় আসে না।
দু-একটি ভালো উক্তি আশ্রয় করেই বেঁচে আছি,
মনে তৃপ্তি নিচ্ছি।

ফটোর অ্যালবাম টা খোলা হয়নি অনেকদিন
নাইবা হল আছে এই যথেষ্ট।

মৃত্যুর পর কি আছে জানিনা -
ইন্টারনেট আছে কি তা-ও অজানা।
রং নাম্বারে এখনো ফোন আসেনি।
যদি আমার অ্যালবাম ডায়েরি আর
ফেসবুকটা সাথে নিতে পারতাম
পরজনম স্মৃতিচারণ করেই কাটিয়ে দিতাম।

          ********


স্থানঃ ধর্মনগর অফিস টিলা।
তাংঃ  ০৩/১১/২০২৩
রাত একটা