বাক্সে সাজিয়ে রাখা সানগ্লাসের একটি, দুপাট্টা দিয়ে হালকা মুছে চোখে দেই । ঘরে কেমন অন্ধকার। ঘড়ির কাঁটা দৌড়াচ্ছে প্রানপ্রণে যেন আমাকে হারিয়ে প্রথম হবেই এই তার পণ।আমার গতি আরো বাড়াতে চশমা কপালে সেটে; চাবি হাতে মাকে প্রণাম সেরে, নিত্য পথের সাথীকে স্টার্ট দিয়েই ছুটতে থাকি। এ রোজকারের ডেইলি ড্রামা ।আজ কেমন ঝাপসা ঝাপসা সব কিছুই দৌঁড়াচ্ছে সাথে সাথে ।একটু থামিয়ে চশমায় জমে থাকা ছত্রাক মুছবো ভেবেও সময়ে দৌরাত্ম্যে রাস্তায় তা হলো না ।নজরে পড়ে অপূর্ব এক স্ট্যাচু। এই পথে নিত্য যাওয়া আসা: কখনো নজরে পড়েনি। বোধ হয় অস্থায়ী স্ট্যাচু। কেমন সুন্দর যুগ উপযোগী মোহনীয় রূপে দোকানের বারান্দায় বসানো ।বাঁশির মত নাক, হরিণের মতো চোখ, দেখতে অপূর্ব সুন্দরী। হাতে মোবাইল ফোন। শহরে অফিস টাইমের যানজট। দুর্ভাগ্যবশত রোড ক্রস এর জন্য তিল মাত্র থামতেই হঠাৎ কানে আসে হ্যালো হ্যালো বুঝেছ। অবাক চোখে দেখি স্ট্যচু কথা বলছে। ফোনের ওপারে যিনি ছিলেন তিনি কি বুঝলেন জানিনা তবে আমি বাকি রাস্তা টুকু বেশ বুঝেছি। নিজেকে সামলে গন্তব্যে পৌঁছে চশমা পরিষ্কার করে নিজে নিজেই হাসলাম পাগলের হাসি ।
কবিতাটি ২১২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ১২/১২/২০২৩, ১৩:২২ মি: